বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার ‘চায়ের গুণগত মান বৃদ্ধি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ হ্রাসে করণীয়’ বিষয়ে বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশনের সাথে এক মতবিনিময় সভা জুম প্লাটফরমে সদস্য ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক, বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাফওয়ান চৌধুরী, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এস এম জিয়াউল আহসান, ডানকান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমেদ, ফিনলের সিইও এস এ এ মাসরুরসহ এসো’র অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারীর প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩.৭৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এটি চা শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। অপরদিকে সামপ্রতিক সময়ে শ্রমিক মজুরিসহ চা উৎপাদনের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চায়ের উৎপাদন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু চায়ের উৎপাদন মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হারে নিলামে চায়ের গড়মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ায় অনেক বাগান আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, উন্নয়নের পথ নকশা, বাংলাদেশের চা শিল্পতে ২০২৫ সালের মধ্যে চা উৎপাদন ১৪০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নীত করার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করতে হলে চা চাষ সমপ্রসারণ, বয়ষ্ক গাছ উঠিয়ে উন্নত জাতের চারা রোপন, ইনফিলিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। চায়ের গুনগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে চা প্রক্রিয়াজাত ফ্যাক্টরিসমূহ আধুনিকায়ন, বাগানের ফ্যাক্টরিসমূহ গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং উৎপাদন খরচ হ্রাসের জন্যে জলাধার নির্মাণ ও সেচ সুবিধা বৃদ্ধি, মাটির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, অধিক উৎপাদনশীল ক্লোন আবিষ্কারের পাশাপাশি তা দ্রুত মাঠ পর্যায়ে সমপ্রসারণ ও বাস্তবায়ন, চা শিল্পে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, শ্রমিক-কর্মচারী-ম্যানেজারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।