১৮ ফুট প্রস্থের সড়কে ১০ ফুটের সরু ব্রিজ, ঝুঁকি

পটিয়া-বোয়ালখালী সংযোগ সড়ক

শফিউল আজম, পটিয়া | মঙ্গলবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ

দুই উপজেলাকে সংযুক্তকারী ব্যস্ততম ও অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক পটিয়াবোয়ালখালী সড়ক। পটিয়ার জিরো পয়েন্ট থানার মোড় থেকে এ সড়কটি বোয়াখালী উপজেলার দাশের দিঘির পাড় গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। ১৮ ফুট প্রশস্থ এ সড়কের উপর ১৯৯০ সালে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত কৃষ্ণখালী ব্রিজের প্রস্থ মাত্র ১০ ফুট। ৭৫ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু সড়কের তুলনায় সরু হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছে যাত্রীরা, অনেক সময় হচ্ছে দুর্ঘটনায়।

অপরদিকে সড়কের দক্ষিণ পাশে বাঁক থাকায় ব্রিজটি আরো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে বতর্মানে সড়কের সাথে সমন্বয় রেখে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ কৃষ্ণখালী ব্রীজ প্রশস্থ সড়ক বিভাগের বর্তমানে নতুন কোন বরাদ্দ না থাকলেও এ সড়কে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কালভার্ট ও ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্থ করে খানমোহনা সেতুর কাজ চলমান রয়েছে।

সূত্র জানায়, আগে ১০১২ ফুট প্রশস্থ থাকলেও গত দুই বছর পূর্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পটিয়াবোয়ালখালী সড়কটি ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ ফুটে উন্নীত করে। এরপর থেকে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় এ সড়কটি পটিয়াবোয়ালখালী এলাকার মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। এ সড়ক দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ছোট বড় এক হাজারের অধিক গাড়ি যাতায়াত করে। সড়কের চেয়ে ব্রিজের প্রস্থ কম হওয়ায় ব্রিজটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও দক্ষিণ ভুর্ষি ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্রিজটি আরো প্রশস্থ করে সড়কের সাথে সমন্বয় করা খুবই প্রয়োজন। এতে দুই লাইনে সহজেই গাড়ি পারাপার করতে পারবে। বর্তমানে একপাশ থেকে গাড়ি আসলে অন্যপাশের গাড়ি এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার অনেক সময় ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারিদের দ্রুতগতির গাড়ির কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। এ ব্রিজে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, সড়ক বিভাগ কর্তৃক গত দুই বছর পূর্বে পটিয়াবোয়ালখালী সড়কটি ১৮ ফুটে উন্নীত করা হয়। এতে এ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি দুই উপজেলার মধ্যে সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। বর্তমানে এ সড়কে

কৃষ্ণখালী সেতু নতুন করে নির্মাণের মাধ্যমে প্রশস্থ করার কোনো বরাদ্দ সড়ক বিভাগের নেই। তবে এ সড়কে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্থ করে তিনটি কালভার্ট ও ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে খানমোহনা সেতুর কাজ চলমান রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহলুদ ফসলের অভাবনীয় সাফল্যে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ
পরবর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালে দালাল আটক