বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পেয়েছেন আবদুস সালাম পিন্টু। তিনি এই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। এ মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সকল আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। আসামিদের আপিল অ্যালাউ করে (গ্রহণ করে) রুল যথাযথ ঘোষণা এবং ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে মোট ৪৯ আসামিকে খালাসের রায় দেয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে গত ১ ডিসেম্বর এ রায় দেন হাইকোর্ট। খবর বাসসের।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই মামলায় খালাস পাওয়া আবদুস সালাম পিন্টুর জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই–বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়। কারাগারের প্রধান ফটক থেকে স্বজন, দলীয় নেতা–কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে পুষ্পমাল্য দিয়ে বরণ করেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আল মামুন বলেন, আবদুস সালামের বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলায় ওয়ারেন্টস নেই। তার জামিনের কাগজ পাওয়ার পর আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।