১৫ বছর বয়সে চুরি করে কামিয়েছে লাখ লাখ টাকা, চারটি মামলার আসামি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৯:১১ পূর্বাহ্ণ

বয়স মাত্র ১৫ বছর। এই বয়সেই চারটি চুরির মামলার আসামি সে। চুরি করে কামিয়েছে লাখ লাখ টাকা। ব্যবহার করে ৬০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোনও। গতকাল ডবলমুরিং থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর অবলীলায় সবকিছু স্বীকার করছিল মোহাম্মদ জাহিদ হাছান নামের চোর দলের এক সক্রিয় সদস্য। তাকে চারটি কর্পোরেট অফিসে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ডবলমুরিং থানাধীন চারটি কর্পোরেট অফিসে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডবলমুরিং থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের কাছ থেকে ১টি অ্যান্ড্রয়েট মোবাইল ফোন, চোরাইকৃত নগদ ২০ হাজার টাকা এবং ২টি টিপ ছোরা উদ্ধার।

ডবলমুরিং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ৯ মামলার পলাতক আসামি মোহাম্মদ মেহেদী হাছান (২৬) ও চার মামলার পলাতক আসামি মোহাম্মদ জাহিদ হাছানকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে কর্পোরেট অফিস থেকে ৮ লাখ ৮ হাজার টাকা চুরি করার পর মোহাম্মদ জাহিদ হাছান ৮০ হাজার টাকা, মেহেদী হাছান ১ লাখ টাকা, সালাউদ্দিন ১ লাখ টাকা, বাবু ১ লাখ টাকা, রিপন ১০ হাজার টাকা, তারেক ১ লাখ টাকা, রাতুল ১০ হাজার টাকা, শরীফ ১ লাখ টাকা এবং কুদ্দুস ১৫ হাজার টাকা ভাগ করে নেয়। বাকি টাকা তারা সম্মিলিতভাবে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ও খাওয়া দাওয়ার পেছনে খরচ করে।

মোহাম্মদ জাহিদ হাছানের বয়স ১৫ বছর। ইতোমধ্যে তার নামে চারটি চুরির মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ। জাহিদ হাছানকে উদ্বৃত করে ওসি জানান, এই ঘটনারও আগে একটি চুরির ঘটনায় সে এক লাখ টাকা ভাগে পেয়েছিল। ওখান থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফোন কিনেছে। বাকি টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা আপদকালীন সময়ের জন্য জমা রেখেছে। বাকি ২০ হাজার টাকা বন্ধুদের নিয়ে ইয়াবাসহ মাদক ও খাওয়া দাওয়ায় খরচ করেছে। আপদকালের জন্য জমা রাখা ২০ হাজার টাকা পুলিশ আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার এক
পরবর্তী নিবন্ধওসি প্রদীপের স্ত্রীর জামিন স্থগিত