১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো অস্ট্রেলিয়ার। গলে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচের সিরিজ সফরকারীরা জিতে নিল ২০ ব্যবধানে। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ছিলেন না এই সিরিজে। ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেইজেলউডরাও নেই ইনজুরির কারণে। তারপরও স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে দারুণ এক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। শুধু নেতৃত্বেই নয়, সেই জয়ে স্মিথের ছাপ আছে আরও নানা জায়গায় দারুণভাবে। দুই টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি করে ম্যান অব দা সিরিজ তিনিই। রিকি পন্টিংকে (১৯৬) ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম ফিল্ডার হয়েছেন তিনি এই সিরিজেই। সিরিজের শেষ দিনে কুসাল মেন্ডিসের ক্যাচ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম (ননকিপার) ফিল্ডার হিসেবে ২০০ ক্যাচের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি। ম্যাচের ভাগ্য একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। চতুর্থ দিনে ৮ উইকেটে ২১১ রান দিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা টিকতে পারে আর মোটে ৬ ওভার। যোগ করতে পারে তারা আর ২০ রান। ৪৮ রানে অপরাজিত থাকা কুসাল মেন্ডিসকে ৫০ রানে থামান লায়ন। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ নেন স্মিথ। লায়ন ও কুনেমানের তখন চারটি করে উইকেট। তবে পাঁচ উইকেট হয়নি কারও। লাহিরু কুমারাকে বোল্ড করে লঙ্কান ইনিংস শেষ করেন বাউ ওয়েবস্টার। রান তাড়ায় ৭৫ রানের লক্ষ্য ছুঁতে একটুও বেগ পেতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। ট্রাভিস হেড আউট হন ২৩ বলে ২০ রান করে। উসমান খাওয়াজা ও মার্নাস লাবুশেন দ্রুতই শেষ করে দেন ম্যাচ। নিজের শততম এই টেস্ট দিয়েই কারুনারাত্নে বিদায় জানালেন টেস্ট ক্রিকেটকে। ব্যাট হাতে ৩৬ ও ২৪ রানের পর দলের এমন পরাজয়ে বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখা হলো না তার। ইনজুরির কারণে যার মাঠে নামাই ছিল অনিশ্চিত সেই বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু কুনেমান ১৬ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৮৯ রিভাইভ ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সাংবাদিক ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন