ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, ১৪ বছর আগের সাথে এখন বাংলাদেশের দিন–রাত পার্থক্য। সত্যিকার অর্থে যে উন্নয়ন, যুগোপযোগী যে উন্নয়ন, সেটা আমাদের সরকারের আমলে হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নুর আহম্মদ সড়কস্থ অফিসার্স ক্লাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রাক্তন ছাত্র–ছাত্রী সমিতি ’৮২ এর রজত জয়ন্তী উৎসব ২০২৩–এ তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ আরো বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠানে পুরনো স্মৃতি জেগে ওঠে। এ বয়সে মানুষের পুরনো স্মৃতি বেশি মনে পড়ে। পাঠশালার স্মৃতি খুবই মধুর। শান্তি আর শান্তি, আড্ডা। কোনও মাথাব্যথা নাই। নো টেনশন। তবে ওই জায়গায় ফেরতের আর সুযোগ নাই আমাদের। এখন জীবন উপভোগ করতে হবে আর দেশকেও কিছু দিতে হবে। পাঠশালার কাজ শিক্ষার্থীদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই আমরা সবাই আজ এ জায়গায় আসতে পেরেছি। সেই বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের জন্য মায়া–মমতা ধরে রাখতে হবে।’
সমিতির সভাপতি এটিএম হামিদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম নীপু ও সাবেক কর কমিশনার জিয়াউল হক সেলিম।
অনুষ্ঠানে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন তুলে ধরেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন রজত জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম হোসেন।
স্মৃতিচারণ করেন আ ক ম গিয়াসউদ্দিন, সৈয়দ মেজবাহুল ফারুক টুলু, নুরুল আবছার, জামসেদ আহমদ, মোহাম্মদ ইসমাঈল, শাহরিয়ার বাবুল, মাহফুজুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সুলতান মিয়া, স্নেহাশীষ বড়ুয়া, হারিছ আহমদ, আনোয়ারা বেগম, বখতেয়ার মঞ্জু, নাসিমুল গনি টুটুল, বিশ্বপ্রতাপ বড়ুয়া, শেখ মনিরুল হক জোসেফ, বিধান বড়ুয়া, আলী নাসের চৌধুরী, নাসিরুল আলম, এসএম জাকির হোসেন, নিয়াজ আহমদ চৌধুরী, মোস্তফা শামীম আল জোবায়ের, তরুণ কান্তি বিশ্বাস, এএসএম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গাজী মোহাম্মদ আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী। দিলরুবা খানম ছুটির উপস্থাপনায় দিনের অনুষ্ঠানমালায় আরো ছিল : নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির পরিচিতি সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পারিবারিক মিলনমেলা, র্যাফেল–ড্র ও প্রীতিভোজ।