ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকীর দেখা মিলেছে। ১৪ দিন পর কার্যালয়ে গেলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে উপজেলা পরিষদে আসেন তিনি। পরে তিনি আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে এক প্রস্ততিমূলক সভায় যোগ দেন। খবর বাংলানিউজের।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শফিকুল ইসলাম ও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সভা চলাকালীন ভেতরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সভা শেষে লাকী নিজ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মী ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সভা শেষে বের হলে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা না বলেই গাড়িতে উঠে চলে যান।
জানা যায়, ছাগলকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে কার্যালয় অথবা বাড়ি বা তার পার্কে কোথাও দেখা যায়নি। কল করে পাওয়া যায়নি, এমনকি তিনি কোথায় ছিলেন, তাও কেউ বলতে পারেনি। কোনো ছুটি না নিলেও ঈদের পর লায়লা কানিজ লাকি কার্যালয়ে যাননি। তিনি সর্বশেষ ঈদুল আজহার দুই দিন আগে অফিস করেছিলেন।
চেয়ারম্যান অফিস না করায় হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। তাদের অভিযোগ, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পর বুধবার পর্যন্ত লায়লা কানিজ লাকি অনুপস্থিত ছিলেন। ওই সময় অনেক ভুক্তভোগী উপজেলা পরিষদে এসে তাকে না পেয়ে ফিরে গেছেন। এতে সেবাবঞ্চিত হয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, লায়লা কানিজের বাবা কফিল উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন একজন খাদ্য কর্মকর্তা। তার মেয়ে লায়লা কানিজ সরকারি তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করলেও রাজস্ব কর্মকর্তার সঙ্গে বিয়ের পর তার ভাগ্য খুলে যায়। গত ১৫ বছরে তার সম্পদ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন তার স্বামী আলোচিত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের অবৈধ উপার্জনে। শিক্ষকতার আয়ে বা পেনশনের টাকায় তার এত সম্পদ থাকার কথা নয়।
এসব বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এটা তার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।