স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জন্মদিন উপলক্ষে কঙবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চারটি কলেজের একটি করে কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এই কর্নারের থরে থরে রক্ষিত থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত গ্রন্থমালা। তন্মধ্যে প্রথমদফায় প্রতি কর্নারে শোভা পাবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম, শৈশব, জীবনাদর্শ, রাজনীতি, রাজনৈতিক কৌশলসহ জাতির পিতার সারাজীবনের সংগ্রাম ও জীবনচিত্রের ওপর লেখা ৪৬টি করে বই। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আগেই এসব কর্নার সুশোভিত হবে ৬৮০৮টি বইয়ের সমাহারে। একযোগে ১৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্নার স্থাপনের অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।
সেই উদ্যোগকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কাজ গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এবং ১৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমদফার ৪৬টি করে বইও বিতরণ করেছেন ইউএনও তাবরীজ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তীসহ সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী দৈনিক আজাদীকে জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আগেই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভার ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চারটি কলেজ যথাক্রমে চকরিয়া সরকারি কলেজ, ডুলাহাজারা কলেজ, উপকূলীয় বদরখালী কলেজ ও চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজে এসব কর্নার স্থাপনের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হবে।
মুজিবশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ব্যতিক্রমী এসব কর্নার স্থাপনের উদ্যোক্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ আজাদীকে বলেন, নতুন প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বিকৃত ইতিহাসের বদলে প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এজন্য ১৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথমদফায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম, শৈশব, জীবন আর্দশ, রাজনৈতিক কৌশল, আদর্শসহ সামগ্রিক জীবনচিত্রের ওপর লেখা ৪৬টি করে বই উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরো বই উপহার হিসেবে দেওয়া হবে কর্নারগুলোতে। বিদ্যালয় ভবনগুলোকে জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজেও রাঙানো হয়েছে।