ফটিকছড়িতে পরম যত্নে পালা ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘সাদাবাবু’। ৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার সাদাবাবু ধবধবে সাদা শরীরে কালো ছাপের একটি ষাঁড়। এটির ওজন ১২ মণ বলে দাবি মালিকের। সাদাবাবুর জন্ম ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরজাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কুম্ভারপাড়া আমির খান চৌধুরীর বাড়িতে। ভালোবেসে গরুটির মালিক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী এই নাম রেখেছেন। পেশায় সার্ভেয়ার এনাম ও তার ছোট ভাই আক্কাস ২ বছর ৬ মাস ধরে ষাঁড়টি পালন করছেন। তার দাবি, বর্তমানে এটিই উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর মধ্যে এটি অন্যতম।
মঙ্গলবার নাজিরহাট পবিত্র ঈদুল আজহার বাজারে সাদাবাবুকে হাটে তোলা হবে। বিশাল শরীরের অধিকারী হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই আশপাশ এলাকার লোকজন এটিকে দেখতে আসছেন। মালিক এনাম চৌধুরী সাদাবাবুর দাম হেঁকেছেন ৭ লাখ টাকা।
এনাম চৌধুরী বলেন, তার একটি গাভী ছিল। সেটি থেকেই সাদাবাবুর জন্ম। এটির বয়স এখন আড়াই বছর। দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটি হৃষ্টপুষ্ট করেছেন তিনি। প্রয়োজন মতো খাবার দেন ও পরিচর্যা করেন। দিনে দিনে ওজন বেড়ে গরুটি ১২ মণে এসে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সাদাবাবুকে বাড়ির সামনে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। গরুটিকে এনামের ভাই আক্কাস ঘাস খাওয়াচ্ছেন। লোকজন দেখে গরুটি বারবার তেড়ে যাচ্ছিল। আক্কাস গরুর শরীরে হাত বুলিয়ে শান্ত করছিলেন।
নাহিদ, মুন্না, সাইফুল, ওমর ফারুক ষাঁড়টিকে দেখতে এসেছেন। তারা বলেন, গরুটি দেখতে অনেক সুন্দর। অনেক বড় গরু। এত বড় গরু এ উপজেলায় মনে হয় আর নেই। গরুর নাম সাদাবাবু শুনেই দেখতে এসেছি।
ষাঁড়টির মালিক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী বলেন, রাজাবাবু দেশি জাতের গরু। এর খাদ্য তালিকায় আছে কাঁচা ঘাস, খড় ও খুদের ভাত। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন প্রায় ৩ বেলায় প্রায় ২৫ কেজি খাবার খায়। তিনি বলেন, ‘গরু লালন–পালন করতে আমার ভালোই লাগে। সার্ভেয়ারের কাজ শেষ করেই সাদাবাবুর কাছে চলে আসি। নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি পালন করেছি।