নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকার এবং সংরক্ষণ করায় ৮০ কেজি ইলিশ জব্দ এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সদরঘাট কর্ণফুলী কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানোর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এই সাজা প্রদান করেন। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসন এবং মৎস্য অধিদপ্তর এই অভিযান পরিচালনা করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছুরাইয়া ইয়াছমিন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে কর্ণফুলী কোল্ড স্টোরেজে ইলিশ সংরক্ষণের জন্য অরিয়ন ফিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সাগরে ইলিশ ধরায় ১১ জেলে এবং ৫ নৌকার মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল (বুধবার) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলের কুমিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়। অংশ নেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাশেদুল ইসলাম। ইউএনও মিল্টন রায় সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সাগরে ইলিশ ধরায় ১১ জেলেকে ২ হাজার করে ২২ হাজার এবং ৫ নৌকার মালিককে ৫ হাজার করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, অভিযানে প্রায় ১ টন ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ করা ইলিশ তাৎক্ষণিক নিলাম ডেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি জাল উদ্ধার করা হয়। অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামিম আহমেদ, মৎস্য দফতরের কর্মকর্তা এবং কোস্ট গার্ডের কুমিরা ইউনিটের সদস্যরা সহায়তা করেন।