দেশের লাইফ লাইন ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক ১০ লেনে উন্নীত করার সমীক্ষার কাজ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের জুনের আগে। ১০ লেন হলেও মহাসড়কটি ১২ লেনের এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। মূল সড়ক হবে ৬ লেইনের। মূল সড়কে টোল দিয়ে ঢুকতে হবে। দুইপাশে দুই লেইন করে ৪টি সার্ভিস লেইন থাকবে ধীরগতির যানবাহনের জন্য। সমীক্ষার পাশাপাশি প্রকল্পের ডিটেইল ডিজাইনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের কোথায় ওভারপাস, আন্ডারপাস ও ফুট ওভারব্রিজ হবে এর কাজ প্রায় ঠিক করা হয়ে গেছে। যেহেতু অনেক বড় প্রকল্প, তাই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংক ছাড়াও অন্যান্য সংস্থার সাথে আলোচনা চলছে বলে জানান সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।
এই ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাব্বির হাসান খান আজাদীকে বলেন, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক ১০ লেইনে উন্নীতকরণের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরের জুনের আগেই শেষ হবে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি এবং ডিটেইল ডিজাইনের কাজ। দেশি–বিদেশি জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। ডিটেইল ডিজাইনের কাজ শেষ হলে প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হবে। গত বছরের মে মাসে দেশি–বিদেশি জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ (সমীক্ষা) শুরু করে।
প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাব্বির হাসান খান বলেন, ১০ লেইনের এই মহাসড়কের মধ্যে মূল সড়ক থাকবে ৬ লেইনের। মূল সড়কে টোল দিয়ে ঢুকতে হবে। এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টোল পয়েন্ট থাকবে। মূল ৬ লেইনের সড়ক দুই পাশে ব্যারিয়ার দেয়া থাকবে। দুইপাশ থেকে কোনো গাড়ি মূল সড়কে (৬ লেইনের) ঢুকতে পারবে না। মূল সড়কে গাড়ি ৮০ কিলোমিটার বেগে চলবে। দুই লেইন করে ৪ লেইনের সার্ভিস লাইন থাকবে; দুই পাশের সার্ভিস লেইন দিয়ে চলবে লোকাল বাস, সিএনজি টেক্সি, মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য ধীরগতির গাড়িগুলো।
মহাসড়কের প্রতিটি মোড়ে ওভারপাস হবে। এছাড়াও আন্ডারপাস ও ফুট ওভারব্রিজ কোথায় হবে এর কাজ প্রায় ঠিক করা হয়ে গেছে। যেহেতু অনেক বড় প্রকল্প, তাই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংক ছাড়াও অন্যান্য সংস্থার সাথেও আলোচনা চলছে।