১০ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু আছে নামমাত্র উৎপাদনে

চট্টগ্রামে ২৯টির মধ্যে ১১টি বন্ধ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে পিডিবির নিজস্ব এবং প্রাইভেটসহ মিলে ২৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে ১৩টি পিডিবির নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্র। অবশিষ্ট ১৬টি প্রাইভেট। এই ২৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে বর্তমানে গ্যাস ও জ্বালানি সংকটে ১১টি কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু আছে নামমাত্র উৎপাদনে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডিবির এক প্রকৌশলী জানান, গ্যাস ও জ্বালানি তেল সংকটে চট্টগ্রামের বেশিভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (সরকারিপ্রাইভেট) উৎপাদন ঠিক রাখতে পারছে না। পিডিবির নিজস্ব এবং প্রাইভেটসহ মিলে চট্টগ্রামে ২৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে ১১টি বন্ধ রয়েছে। ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে নাম মাত্র উৎপাদনে।

১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ : পিডিবির প্রতিদিনের উৎপাদন তালিকায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২১০ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, গ্যাসের কারণে দুটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। রিজেন্ট পাওয়ার বন্ধ রয়েছে। ১০০ মেগাওয়াটের এনার্জি প্যাক বন্ধ রয়েছে। আরপিসিএল বন্ধ রয়েছে। ৫০ মেগাওয়াটের বারাকা পাওয়ার প্লান্টটি বন্ধ রয়েছে। কেইপিজেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও বন্ধ। এছাড়াও টেকনাফ সোলার প্যানেল এবং কাপ্তাই সোলার প্যানেল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও কঙবাজার বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে।

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নামমাত্র উৎপাদনে চালু ১০টি কেন্দ্র: বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের উৎপাদনের তালিকায় দেখা গেছে, শিকলবাহা ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে একটি বন্ধ। অপরদিকে ২২৫ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি থেকে মাত্র ৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। অপরদিকে ৫৫ মেগাওয়াটের শিকলবাহা জুডিয়াক পাওয়ার প্লান্ট থেকে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

দোহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ৩৪ মেগাওয়াট এবং হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

প্রাইভেট বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোর মধ্যে জুলধা ৩০০ মেগাওয়াট থেকে মাত্র ২৪ মেগাওয়াট, ১০৫ মেগওয়াটের শিকলবাহা বারাকা থেকে মাত্র ১৭ মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ৩০০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড থেকে নাম মাত্র ৫০ মেগওয়াট এবং ১১০ মেগাওয়াটের বারাকা কর্ণফুলী থেকে মাত্র ৩৪ মেগাওয়াট, ১১৬ মেগাওয়াটের আনলিমা থেকে মাত্র ১৭ মেগাওয়াট, ১৬২ মেগাওয়াটের মিরসরাই বি.আর. বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মাত্র ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

তেল ও গ্যাস নির্ভর অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোর বেশির ভাগই এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে (তেল ও গ্যাস সংকটে) চলছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক প্রকৌশলী গতকাল আজাদীকে জানান, চট্টগ্রামে তেল ও গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো থেকে উৎপাদন কিছুটা কমেছে। প্রাইভেটে বেশির ভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তেল ও গ্যাস নির্ভর। এগুলো গুলো থেকেও উৎপাদন একটু কম হচ্ছে। পিডিবির বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রায় চালু আছে। শিকলবাহা, দোহাজারী এবং হাটহাজারী চালু আছে। রাউজান গ্যাসের কারণে দুটি ইাউনিট বন্ধ আছে।

গতকাল চট্টগ্রামের চাহিদা ছিল সাড়ে ৯শ’ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিড থেকে সাড়ে ৯শ’ মেগাওয়াট পাওয়া গেছে বলে জানান ওই প্রকৌশলী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধলেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা, একদিনেই নিহত ২৭৪