আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলেও সরকার পতন হবে না। তিনি বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের খেলায় আমরা জিতে গেছি। খেলা হবে আগামী বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। ফাইনাল খেলা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে।
গতকাল সোমবার দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ জিমনেসিয়াম মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বরের (বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হয়েছে) খেলায় আমরা জিতে গেছি। খেলা হবে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই ফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচন হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতিবাজ তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে খেলা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল আবারও সরকার গঠন করবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে সরকার পতন হয় না। ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে সরকার গঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারা আছে।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। আরে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে ভূত হয়ে গেছে। সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করা হয়েছে। বিএনপি বলুক, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? আমরা সংবিধানে হাত দেব না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আমরা বিএনপির গণতন্ত্র দেখেছি। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বিএনপিকে ‘ভোট চোর’ আখ্যায়িত করে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ভোট ‘চুরি’ করেছে। তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ‘ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল’।
ওবায়দুল কাদের এমপি আরো বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুন কিছু নেই, তবে সব পুরানো কথা। এরপরও কিছু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, মেনে নেওয়ার মতো কোনো দাবি আছে কি না। ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেওয়ার ছক এঁকে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল হয়ে গেছে।
সম্মেলনের উদ্বোধক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতকে যে চেনে না, সে কবরস্থানও চিনে না। ১৯৭০ সালে আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছিলাম, আজকে আমি ছাড়া আর কেউ জীবিত নেই। আমার পরম বন্ধু আখতারুজ্জামান বাবু, আতাউর রহমান কায়সার, এরা আমার সাথে আজকে নেই। আমি আজকে বড় একা, আমার সময় হয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে। যারা যুদ্ধ করেনি তারা খেতাব পেয়েছে। যারা কোনোদিন যুদ্ধের মাঠে ছিল না, তারা খেতাব পেয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জিয়াউর রহমান। একসাথে আমরা ছিলাম। যেখানে যুদ্ধ, সেখান থেকে সে পালিয়ে গিয়েছে। সে কোনো দিন ফ্রন্ট ফাইটার ছিল না।
বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অচল করার জন্য পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে হাতে তারা আক্রমণ করবে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। পারবেন? আমার কথা হলো আগামী দিনে হয়তো এই পরিস্থিতি আসতে পারে। সেই পরিস্থিতি আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। মোকাবেলা কে করবে? আমাদের নেতাকর্মীরাই মোকাবেলা করবে। আমরা অনেক মার খেয়েছি, আর মার খেতে রাজি নই। আমিও মার খেয়েছি। মান্নান ভাই, আমি, সালেহ ভাই আজকে নাই- তিনজন আমরা নেতৃত্ব দিয়েছিলাম একটা মিছিলে। সেই মিছিয়ে একজন মন্ত্রী ব্যারিস্টার সুলতান দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশ পাহারায় তারা সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। মান্নান ভাই আহত হয়। সালেহ ভাই আহত হয়। আমার পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। আমি একা নিউ মার্কেট চত্বরে পড়েছিলাম। চট্টগ্রাম মেডিকেলে চার ঘণ্টা অপারেশন করে আমার পা ঠিক করা হয়। আমি প্রায় ৬ মাস পঙ্গুত্বের জীবন কাটিয়েছিলাম।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, যে বিএনপিকে চেনে না, যে জামায়াতকে চেনে না, সে কবরস্থানও চেনে না। আপনারা কঠোরভাবে শপথ নেন, যে হাত দিয়ে তারা আক্রমণ করবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। ভেঙে না দিলে কোনও কাজ হবে না। ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, ১০ তারিখের পর বিএনপি হতাশ। তারা তাদের কর্মীদের আর মাঠে আনতে পারবে না। কর্মীদের মনোবল টিকিয়ে রাখতেই তারা পদত্যাগ করেছেন।
সম্মেলনের বিশেষ অতিথি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জান চৌধুরী জাবেদ বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ শক্তিকে ফুঁ দিয়ে নাড়ানো যাবে না। এই চট্টগ্রামের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। বিএনপি ১০ ডিসেম্বর নিয়ে অনেক ভাওতাবাজি করেছে। তারেক রহমান আসবে, সে জনসভার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করাবেন। উল্টো তারা ৭ জন পদত্যাগ করেছেন। সাড়ে তিনশ’ এমপির মধ্যে ৭ জনের পদত্যাগ, সেখানে ৫ জনের পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে। যাই হোক, ৭ জন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগ করে তারা কী প্রমাণ করতে চায়!
তিনি বলেন, সময় এসেছে, সামনে জাতীয় নির্বাচন। স্বাধীনতা বিরোধী এই চক্রকে যে-কোনো কিছুর বিনিময়ে প্রতিহত করবো।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি টিভি সাংবদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের সামনে যে বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছেন (টিভি সংবাদিক) তারা বারবার করে তাদের বাঙের মধ্যে (টিভিতে) প্রচার করতেন, ১০ তারিখের পর নাকি বাংলাদেশ চলবে ‘কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে’। বাঙ খুললেই, নয়াপল্টনে বিএনপির জনসভা। আমাদের টেলিভিশনগুলো মনে হয়, বিএনপির প্রচরাণায় এজেন্ট হিসেবে, বিএনপির প্রচারণার সেলের মেম্বার হিসেবে চেষ্টা করেছে নয়াপল্টন কেন্দ্রিক এমন একটি হাইফ তুলতে, যেন অনেক মানুষ নয়া পল্টেনে জমায়েত হয়। যে বিজ্ঞাপন একেকটা কোম্পানি কোটি টাকা দিয়ে পায় না, সে বিজ্ঞাপন মিডিয়ার বন্ধুরা বিএনপির পক্ষে করেছেন। অবশেষে কোথায় গিয়েছে? আমাদের বন্ধুদের মন খারাপ করে গরুর মাঠে গিয়ে তারা (বিএনপি) জনসভা করেছে।
হুইপ স্বপন বলেন, টেলিভিশনে একেকজন সাংবাদিকরা যখন ওনাদের রিপোর্টিং করেন, তখন মনে হয়-এখনি ওনিই নামিয়ে ফেলবেন শেখ হাসিনা সরকার। এরকম ফিক উঠে যায়। এ ফিকের চোটে যেন বিএনপি নেতাকর্মীরা আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বিষয় হচ্ছে, চট্টগ্রামে না; কক্সবাজারে একটি জেলার জনসভা হয়েছে আওয়ামী লীগের। চট্টগ্রাম তো অনেক বড় শহর, বিশাল শহর বিশাল জেলা। এখানে মানুষ হবে স্বাভাবিক।
তথ্যমন্ত্রীর বলা ‘চাঁটগাইয়া ফুয়া; মেডিত ফইল্লে অয় লোহা’ সেই কথার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ছেলেরা যদি লোহা হয়, তাহলে চাঁটগাইয়া মেয়েরা কি হয়। ‘চাটগাইয়া মাইয়া মাটিত পড়লে হয় প্রীতিলতা’। সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, আপোষহীন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। স্যালুট প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। চট্টগ্রামের নারীদের প্রতি আমাদের অভিনন্দন, আমাদের অভিবাদন।’
রুমিন ফারহানাকে উদ্দেশ্য করে আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, শেক্সপিয়ারের একটি বিখ্যাত কমেডি আছে, এটির অবলম্বনে শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরী একটি নাটক লিখেছিলেন। যার নাম ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’। আমাদের পার্লামেন্টে একজন মুখরা রমণী বশীকরণ ছিলেন কয়েকদিন আগ পর্যন্ত, গতকাল পর্যন্ত। এ মুখরা রমণী বড় বেশি কথা বলতেন। যা সাবজেক্ট তাও বলতেন, যা সাবজেক্ট না তাও বলতেন। রশিয়ে রশিয়ে বলতেন। এ মুখারা রমণী নিয়ে একটু ঝামেলায় ছিল। কিন্তু ‘আল্লাহর মাইর, দুনিয়ার বাইর’ মুখরা রমণী গতকাল বিদায় হয়েছেন। মনে করেছিলেন, যে সাতজন পদত্যাগ করলে আওয়ামী লীগ পরে যাবে।’ উনাকে অনেক বলার ছিল-কিন্তু আর বেশি কিছু বলছিনা। কারণ উনার পিতা এক সময় আওয়ামী লীগ করতো। পরবর্তীতে বিপথগামী হয়ে খন্দকার মোস্তাকের সরকারে যোগ দিয়েছিলেন। খন্দকার মোস্তাকের এপিএস ছিলেন।
আওয়ামী লীগ কি জেনারেলের পকেট থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল? হালুয়া রুটি ভাগ করে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল?
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের বিরুদ্ধে চলমান সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশে যে সমতার উন্নয়ন হয়েছে, সে উন্নয়নের ধারা যদি আমরা অব্যাহত রাখতে চাই, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, একসময় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগকে পরিচালনা করত। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক পুলিন দে, কিংবদন্তি নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ও আতাউর রহমান খান কায়সার দক্ষিণের হয়ে সমগ্র বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলকে গুছিয়েছেন, দলের জন্য কাজ করেছেন। আর বর্তমান নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আমিনুল ইসলাম আমিন, ওয়াশিকা আয়েশা খানের মত নেতারা।
নেতাকর্মীদের দলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, নানান জায়গায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ভার্চুয়াল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আমাদের বিপুল পরিমাণ সমর্থক রয়েছে তা প্রচার করতে হবে, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী এমপি। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটি, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি সভাপতিত্ব করেন এবং পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপিকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।