১০০ গ্রাম মুরগির মাংসও কেনা যায়

খাগড়াছড়িতে ব্যতিক্রমী হাট

সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি | মঙ্গলবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

মুরগির মাংস বিক্রির ব্যতিক্রমী হাট বসে খাগড়াছড়িতে। আস্ত মুরগির পাশাপাশি চাইলে ১০০ গ্রাম কাটা মাংসও কিনতে পারেন ক্রেতারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে প্রয়োজন অনুযায়ী মাংস কিনতে পেরে স্বস্তিতে ক্রেতারা। কাটা মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় খুশি বিক্রেতারাও।

ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী মুরগির মাংস বিক্রি হয় খাগড়াছড়ির হাটগুলোতে। দেশি, সোনালী বা ব্রয়লার মুরগির মাংস কেটে বিক্রি করা হয়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষই এর মূল ক্রেতা। কর্মজীবী নারীপুরুষ থেকে গৃহিণী এমনকি হোটেল মালিকদের পছন্দ রেডিমেইড মাংসের দোকান। সাপ্তাহিক হাটের পাশাপাশি প্রতিদিনই এইভাবে মাংস কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

খাগড়াছড়ির কর্মজীবী নারী আনুচিং মারমা। তিনি বলেন, কাজের প্রয়োজনে দিনের বেশির ভাগ সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয়। মাংসের বাজার থেকে পরিমাণ মতো কেনা যায়। এতে ঝামেলা ছাড়াই রান্না করতে পারি। চাইলে ১শ গ্রাম কেনা যায়।

কমল চাকমা নামে এক ক্রেতা বলেন, ১ কেজি ওজনের দেশি মুরগি কিনতে গেলে সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন। কিন্ত এখান থেকে প্রয়োজন মতো মাংস কিনতে পারা যায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পরিমাণ মতো মাংস কিনতে পারা এক ধরনের স্বস্তি।

কাটা মুরগির মাংস কিনতে পারায় বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না হোটেল মালিকদের। কয়েকজন হোটেল মালিক বলেন, চাইলে পরিমাণ মতো মাংস কিনে রান্না করতে পারি। এই ধরনের হাট থাকায় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। মুরগি কাটাকুটি করার ঝামেলা নেই। সরাসরি হাট থেকে রান্না করতে পারি।

খাগড়াছড়ির জেলা উপজেলা সদর ছাড়াও পাহাড়ি ছোটবড় সব হাটে আস্ত মুরগির পাশাপাশি কাটা মুরগির মাংসও বিক্রি করা হয়। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় এভাবে মুরগি বিক্রি করে খুশি বিক্রেতারাও। উচ্ছিষ্ট বাদ দিয়ে প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হয় সাড়ে ৬শ থেকে ৭শ টাকায়, সোনালী ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ৩শ থেকে ৪শ টাকায়।

খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর, মাইসছড়ি, দীঘিনালার বেশ কয়েকজন বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন প্রচুর মুরগি বিক্রি হয়। ক্রেতা চাহিদাও বেশি। একেক জন বিক্রেতা দিনে ১৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত কাটা মুরগির মাংস বিক্রি করতে পারেন।

তবে মাংস কেটে বিক্রির সময় স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের হোসেন। তিনি বলেন, আমিষের চাহিদা মেটানোর অন্যতম উৎস হল মুরগির মাংস। পাহাড়ে এর চাহিদাও প্রচুর। মাংস বিক্রি করার সময় একটি নিদিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাংস ঢাকনা দিয়ে রাখলে ভালো হবে। বাড়িতে নেওয়ার পর ভালো করে ধুয়ে রান্না করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালদ্বীপের পার্লামেন্টে সরকার ও বিরোধী দলীয় এমপিদের মারামারি
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার