জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনকে নারীর জন্য অমর্যাদাকর উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নারী সেলের নেতারা ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের মূল্যবোধ ধারণ করে ভবিষ্যতে নারীদের প্রকৃত ক্ষমতায়নের জন্য নিজেদের লড়াই অব্যাহত রাখার কথাও জানান তারা। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রাজনীতি ও নাগরিক হিসেবে নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের বড় ভূমিকা ছিল। বিপুলসংখ্যক নারী রাজপথে নেমে এসেছিলেন। এর আগের আন্দোলনগুলোতেও নারীদের বিশাল অবদান ছিল। কিন্তু নারীদের সে অর্থে মূল্যায়ন কখনো হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সামনে সুযোগ করে দিয়েছে। নারীদের যে ত্যাগ তার মূল্যায়ন করতে হবে।
প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নারী নেত্রী এবং সমর্থকদের সেই সুযোগ করে দিতে পারেনি, অথচ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। এনসিপি দেশের এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সঠিক মূল্যায়ন করে তাদের মেধা, যোগ্যতাকে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেবে।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন, যুগ্ম সদস্যসচিব সাগুফতা বুশরা মিশমা প্রমুখ। বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার, সংগঠনের উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ প্রমুখ।
সারোয়ার তুষার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ নারী সরাসরি ভোটে সংসদে যাবে। এই প্রস্তাবের যারা বিরোধিতা করবে আপনারা আগামী ইলেকশনে তাদের প্রত্যাখ্যান করবেন, এটা আমাদের আহ্বান। আগের পদ্ধতিতে কোনো নারীর ক্ষমতায়ন হয়নি। এটার মাধ্যমে জনগণের পয়সায় ওমুকের খালা তমুকের স্ত্রী সংসদে গেছেন। সেখানে গিয়ে তারা রিডিংও পড়তে জানে না।