হেরমান হেস (১৮৭৭–১৯৬২)। কবি এবং চিত্রকর, সুইজারল্যাণ্ডীয় নাগরিক। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলির মধ্যে রয়েছে: স্টেপেনউলফ, সিদ্ধার্থ, এবং দ্য গ্লাস বিড গেম, যেটি ম্যাজিস্টার লুডি নামেও পরিচিত। তিনি ১৯৪৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৮৭৭ সালের ২ জুলাই জার্মানির ভুর্টেমবার্গের কাল্েভর ব্ল্যাক ফরেস্ট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামহরা ভারতের বেসেল মিশন নামে একটি প্রটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান মিশনারি সমাজের অধীনে একটি মিশনে কাজ করেছিলেন। তার মাতামহ হেরমান গুন্ডার্ট মালয়ালাম ভাষার বর্তমান ব্যাকরণ রচয়িতা। তিনি মালয়ালামর ইংরেজি অভিধান সংকলন এবং মালয়ালাম ভাষায় বাইবেল অনুবাদেও অবদান রাখেন। হেরমান হেসেলের মা মারি গুন্ডার্ট এবং বাবা ছিলেন ইয়োহানেস হেস। শৈশবে হেস জার্মানির গ্যোপিঙেনের ল্যাটিন স্কুলে লেখাপড়া করেন। পরে ১৮৯১ সালে মলব্রোন অ্যাবের ইভাঞ্জেলিকাল থিওলজিকাল সেমিনারিতে ভর্তি হন। জার্মানির সবচেয়ে সুন্দর এবং সুপ্রতিষ্ঠিত স্কুল অ্যাবেতে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহব্যাপী ৪১ ঘণ্টা ক্লাস করত তখন। যদিও প্রথম মাসগুলোতে হেসে ভালো করেছিলেন। সে সময়ে তিনি প্রবন্ধ লেখা এবং ধ্রুপদী গ্রীক পদ্যসমূহ জার্মান ভাষায় অনুবাদ করতে পছন্দ করতেন। পরে মলব্রোনে তিনি কিছু সঙ্কট পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান এবং একটা সময় বিপ্লবী হয়ে ওঠেন। পরবর্তী সময়ে তিনি সুইজারল্যান্ডের নাগরিক হন। হেরমান হেসের সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে– স্টেপেনউলফ, সিদ্ধার্থ, এবং দ্য গ্লাস বিড গেম। যদিও দ্য গ্লাস বিড গেম ছদ্মনামে লিখেছিলেন এবং তিনি ম্যাজিস্টার লুডি নামেও পরিচিত ছিলেন। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি জার্মানির বিখ্যাত বুক ট্রেডের শান্তি পুরস্কারসহ ভিয়েনার দ্য স্কিলার ফাউন্ডেশনের মাজস্ট্রিক–প্রেইস, বুয়ের্নফেল্ড–প্রেইস, গটফ্রিড–কেলার–প্রেইস ইত্যাদি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ১৯৪৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। হেস ১৯৬২ সালের ৯ আগস্ট সুইজারল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেন।