নগরীর আকবরশাহ এলাকায় এক প্রবাসীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে আটকে রাখা এবং জোর করে সই নিয়ে ‘বিয়েতে কবুল’ বলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। তার নাম আবদুল করিম রাসেল। তিনি ফেনী সদরের আফতাব বিবিরহাট এলাকার কুতুব উদ্দিনের ছেলে।
গত রোববার এ ঘটনায় প্রবাসী আবদুল করিম রাসেল বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় করা মামলায় দুই নারীসহ (দুই বোন) সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের তাহমিনা আকতার, কহিনুর বেগম, সুমন মোল্লা, মো. জাবেদ, আকবরশাহ এলাকার আবদুর রাজ্জাক, দেলোয়ার হোসেন ও ইউসুফ।
মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী আবদুল করিম রাসেল সাইপ্রাস প্রবাসী। ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে আসেন। এ বিষয়ে অবগত ছিলেন পূর্ব পরিচিত (ফেইসবুকে যোগাযোগ) তাহমিনা আকতার। পরে ভিসা প্রসেসিং কাজে চট্টগ্রাম যেতে হবে জানালে তাহমিনা আকতার বলেন, ভগ্নিপতি সুমন মোল্লা এ বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ জুলাই বাদী চট্টগ্রাম আসেন এবং সিটি গেট এলাকায় তাহমিনা আকতারের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
তখন তাহমিনার সাথে বড় বোন কহিনুর বেগমও ছিলেন। একপর্যায়ে বাদীকে আকবরশাহ থানার কৈবল্যধাম আবাসিক এলাকার একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শরবত (চেতনানাশক) খাওয়ানো হলে বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওই ঘরে দা, ছুরিসহ লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে উল্লেখ করে আরজিতে বলা হয়, বাদীকে গালাগালি করার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মারধর করা হয়। পাশাপাশি প্যান্টের পকেটে থাকা দুই লাখ টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে বাদী অচেতন হয়ে পড়েন। অনেকক্ষণ পর হুঁশ ফিরলে তিনি নিজেকে সোফায় বসা দেখতে পান। সেখানে তার কাছ থেকে সই নেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর বলা হয়, বিবাহ হয়ে গেছে, কবুল বলো, কবুল বলো। এসব কথা শুনে বাদী কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে পাশের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরদিন রুমের দরজা খোলা পেয়ে তিনি বেরিয়ে পড়তে সক্ষম হন। আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়।
বাদীর আইনজীবী সাঈদ আহমেদ বলেন, আবদুল করিম রাসেলের মামলাটি গ্রহণ করে বিচারক পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।