চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, লোকবল সংকট থাকা সত্ত্বেও রোগীর ব্যথা ব্যবস্থাপনায় জেনারেল হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই জেলার সাধারণ মানুষের সাথে সাথে অত্র হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দও সেবা পেয়ে আসছেন। বিশ্বে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন মহিলা ও প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন পুরুষ অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছে। রোগটি প্রতিরোধে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ব্যায়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হাড় ভালো রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। জেনারেল হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগের পার্থক্য দূরীকরণসহ চিকিৎসার উন্নতি ও ক্লিনিক্যাল অনুশীলন’ বিষয়ক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জেনারেল হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসাসেবার মান কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নেব।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. একরাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেসিয়া ও আইসিইউ) ডা. মৌমিতা দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. পলাশ নাগ। বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. এইচ.এম হামিদুল্লাহ মেহেদী। প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি’র মেডিকেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডা. দোস্ত মোহাম্মদ (জয়) ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার ফখরুল আহমেদ। কেক কেটে বর্ষপূর্তির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. তৌহিদুল আনোয়ারসহ জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকগণ সেমিনারে অংশ নেন। অতিথিবৃন্দ ব্যাথা ব্যবস্থাপনা ও ফিজিওট্রিস্টের ভূমিকা কি হতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবার মান উন্নতকরণে ও পূনর্বাসন চিকিৎসায় ফিজিয়াট্রিস্টগণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
অধ্যাপক ডা. পলাশ নাগ জানান, গত ২০২৩ সালের এই দিনেই এই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। ২০২৩ সাল থেকে চলতি ২০২৫ সালের এ পর্যন্ত ফিজিওথেরাপী ইউনিটে মোট ১০ হাজার ৭৮ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সরকারকে ৬ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা রাজস্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের বহিঃ বিভাগে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৮০ জন, ৬৭ জন রেফার্ড রোগীর পাশাপাশি ৩৩জন রোগীকে ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। এ বিভাগে ফিজিওথেরাপিষ্টের পদ শূন্য রয়েছে। পদটি পূরণ হলে আমরা আরও বেশী সেবা দিতে পারবো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











