হাটহাজারীর গড়দুয়ারা এলাকায় জনস্বার্থে হালদা প্রকল্পের প্রস্তাবিত নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ করার দাবি জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবু তাহের। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকার জনস্বার্থে হালদা নদীর ভাঙন রোধ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জমির জলাবদ্ধতা রোধ, শুষ্ক মৌসুমে ইরি বোরো চাষাবাদ, মৌসুম তরিতরকারির উৎপাদন বৃদ্ধি, সর্বোপরি নদীর মাছ জীব বৈচিত্র্য রক্ষা, বর্ষাকালে নদী সংলগ্ন এলাকাবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে হালদা প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। নদীর মদুনাঘাট থেকে নাজিরহাট পর্যন্ত হালদা প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে এটা বিকল্প সড়ক হিসেবে ও ব্যবহার করা যাবে। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল আলম বাশেক, গড়দুয়ারা ইউ পি চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার, মহসিন তালকদার, এনাম চৌধুরী, মফিজুর রহমান, তরিকুল কালাম তুহিন, বখতেযার সরকার, আবু সাঈদ সরকার, এইস কে বাবর সরকার, রাশেদ সরকার, নোমান খাঁনসহ এলাকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ। ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নয়াহাট এলাকায় প্রায় দুই শত পরিবারকে বেড়ি বাঁধের ভিতরে রেখে নদী সংলগ্ন স্থানে যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্বেও এক/ দুই হাজার ফুট দূরে অজ্ঞাত কারনে বাঁধ নির্মান নকশা করা হয়েছে। এই নকশা বাস্তবায়ন করা হলে জনস্বার্থ ক্ষুন্ন হবে। সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, প্রকল্পের কাজ প্রত্যেক স্থানে যথাযথ ভাবে করা হলে গড়দুয়ারা অংশে কেন এই ব্যতিক্রম এমন প্রশ্ন তোলা হয়।
বেড়িবাঁধের বাইরে দুই শতাধিক পরিবার ও তাদের বসতঘর, সহায় সম্পত্তিকে অরক্ষিত রেখে লোকালয়ের ভিতর দিয়ে এবং রমজান আলী বিলের শত শত একর ফসলি জমির উপর কেন বাঁধের নকশা দেখানো হয়েছে, তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা বলে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া বাঁধটির যেখানে নকশা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ জনবসতি এলাকায়। এতে বাড়িঘর, মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থান পড়েছে। নদীর তীরে বাঁধের এমন নকশা করায় জনসাধারণ হতবাক হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছবে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে জনস্বার্থে ক্ষতিকর এই নকশা বাতিল করার দাবি জানিয়ে বাস্তব ভিত্তিক নকশার মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।