হালদা নদীতে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ফের নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। নদীর কাগতিয়ার চর, মাছুয়াঘোনা, নাপিতেরঘাট, আজিমারঘাট প্রভৃতি এলাকায় নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন ডিম আহরণকারীরা। এ বছরের ২৪ মে দিবাগত মধ্যরাতে মা মাছ নদীতে নমুনা ডিম ছাড়ে। পরদিন ২৫ মে ২৪ ঘন্টা পর পুনরায় নমুনা ডিম ছাড়ে। ২৬ মে দিবাগত রাতে মাছ ডিম ছাড়ে। সেই সময় ৩৪৩ টি নৌকার মাধ্যমে ৮০৬ জন ডিম আহরণকারীরা ৬ হাজার ৩য় কলাম
৫ কেজি ডিম আহরণ করেছিল। পরবর্তীতে ২ জুন পুনরায় মা মাছ ২য় দফা ডিম ছাড়ে। এই সময় ২ হাজার কেজি ডিম আহরণ করেন ডিম আহরনকারীরা। গত বছর ২০২০ সালের ২২ মে বিগত দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রায় ২৬ হাজার কেজি ডিম আহরন করা হয়েছিল। গতকয়দিন থেকে প্রবল বর্ষণের ফলে নদীতে ব্যাপক ঢলের প্রকোপ হয়। ঢলের ফলে দিবাগত রাত আনুমানিক ৮ টা থেকে নদীতে মাছ ডিমের আংশিক নমুনা ছাড়ে। রাত দশটা সাড়ে দশটা পর্যন্ত নমুনা ছাড়া অব্যাহত ছিল বলে জানান ডিম সংগ্রহকারী গড়দুয়ারার কামাল সওদাগর, মাছুয়াঘোনার মোঃ শফি ও মধ্য মার্দাশার আশু বড়ুয়া। তারা রাতে জোয়ারের সময় মাছ আরো ডিম ছাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রহুল আমিনও নদীতে নমুনা ডিম ছাড়ার কথা স্বীকার করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক অধ্যাপক ডঃ মনজুরুল কিবরিয়া ও নদীতে সামান্য পরিমান ডিম ছেড়েছে বলে উল্লেখ করেন। তবে এগুলো খুবই নগন্য বলে তিনি জানান।











