দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে সামান্য ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বজ্রবৃষ্টি ছাড়া এ ডিম দেখে এটাকে কেউ কেউ নমুনা ডিম বলেলও সংশ্লিষ্টরা তা মানতে নারাজ। অমাবস্যা, অষ্টমী ও পূর্ণিমা তিতি/জোতে এরকম সামান্য ডিমের আলামত নদীতে দেখা যেতে পারে বলে দাবি তাদের। হালদা নদী থেকে ডিম আহরণকারী কামাল সওদাগর, শফিউল আলম, আশু বড়ুয়ার কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন, মূলত তিতির জো’র কারণে নদীতে জোয়ারের প্রকোপ বেড়েছে। প্রবল জোয়ারের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢুকছে। এখন মা মাছ হালদা নদীতে আনাগোনা করছে। জোয়ারের তীব্রতায় মা মাছ হয়তো সামান্য এই ডিম ছেড়েছে। যেহেতু বর্তমানে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম আসন্ন। তাই অমাবস্যা, অষ্টমী ও পূর্ণিমা তিতির পর পর মৌসুমের যে কোনো সময় এভাবে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় হয়তো এসব ডিম ছেড়েছে। এগুলো কিন্তু আহরণ করা যায় না। এজন্য এসব ডিম আহরণে আমারও প্রসু্তত নই।
হালদা গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, মৌসুমের সময় জো’র পর পর এভাবে মা মাছ ডিম ছাড়ে। শুধু তাই নয়; ডিম ছাড়া শেষ হলেও কোনো কোনো সময় মা মাছ এভাবে ডিম ছেড়ে থাকে। তাছাড়া এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মানুষকে বিভ্রান্তি করতে ডিমের নমুনা ছাড়ার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রহুল আমিন বলেন, তিনি সামান্য ডিম ছাড়ার বিষয় অবগত আছেন। তবে এটা প্রকৃত পক্ষে ডিমের নমুনা নয়। প্রবল বর্ষণসহ বজ্রবৃষ্টি, নদীতে ঢলের প্রকোপ নেই, তাই এটাকে নমুনা ডিম বলা যাবে না। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুন হুদা রনিও একই কথা বলেছেন।