হালদা নদীতে আবারও একটি মৃত ডলফিন ভেসে উঠেছে। হালদায় এই পর্যন্ত ডলফিন মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৬। গতকাল শনিবার রাউজানের আজিমের ঘাট এলাকায় মৃত ডলফিনটি ভাসতে দেখেন পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মেম্বার আবদুল্লাহ আল মাসুদ। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন আরিফকে জানান। সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান সেখানে ছুটে গিয়ে ডলফিনটি উঠিয়ে নদীর পাড়ে রাখেন। ফোনে বিষয়টি জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ সিকদারকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডলফিনের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে নির্বাহী কর্মকর্তা সামাদ সিকদার বলেন, এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। সেখান থেকে লোক এসে এটি নিয়ে যাবেন।
ডলফিন মৃত্যু আঘাত জনিত কারণে কিনা জানতে চাইলে হালদা গবেষক চবি প্রাণি বিদ্যা বিভাগের প্রধান ড.মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ডলফিনটি রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরিতে আনা হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এই গবেষকের মতে ডলফিনের উপড়ের চামড়া মোটা ও নিচে থাকা চর্বি এ কারণে আঘাত উপড় থেকে দেখা যায় না। আঘাত পেলে শরীরের ভিতরে জখম হয়। ল্যাবরেটরিতে আনা হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।












