চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলের বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। তারপরও লড়াইটা করেছিল বাংলাদেশ হারের ব্যবধান কমানোর। গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে এখনো সে লক্ষ্যই রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। কারণ গতকালই হার নিশ্চিত হয়ে গেছে টাইগারদের। পঞ্চম দিনে ম্যাচ নিয়ে যেতে পারাটাই বড় অর্জন স্বাগতিকদের। শেষ দিনে হারের ব্যবধানটা কতটা কমাতে পারে সেটাই এখন লক্ষ্য মিরাজ এবং তাইজুলের।
কারণ এ দুজনই যে অপরাজিত রয়েছেন। জয়ের জন্য ৫১১ রানের অসম্ভব লক্ষ্যের পেছনে ছুটে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে। জিততে হলে এখনো ২৪৩ রান দরকার বাংলাদেশের। হাতে রয়েছে ৩ উইকেট। আপাতদৃষ্টিতে যা একেবারেই অসম্ভব। তাই এখন হারের ব্যবধানটা কিছুটা কমানোটাই লক্ষ্য টাইগারদের। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৬৮ রান সিরিজে প্রথমবারের মতো দুইশ পার করা ইনিংস। এখন দেখার বিষয় হারের ব্যবধান কতটা কমাতে পারে বাংলাদেশ। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলংকা। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬৭ বলে। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত একটি ডেলিভারি তাকে থামায় ৫৬ রানে। একটু পরই ৫১০ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। আগের দিনের চার উইকেটের সঙ্গে আর কোনো শিকার যোগ করতে পারেননি হাসান মাহমুদ।
রানের পাহাড় সামনে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তবে তাদের উদ্বোধনী জুটি থেমে যায় ৩৭ রানে। প্রভাথ জায়াসুরিয়াকে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন জয়। ১৯ রান করে জাকির বিদায় নেন আসিথা ফার্নান্দোর বলে খোঁচা মেরে। মোমিনুল এবং শান্ত মিলে ৪৩ রান যোগ করেন। এবারেও শান্ত পারলেন না বড় ইনিংস খেলতে। ২০ রান করে লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত।
সাকিবের সাথে আরো ৪০ রান যোগ করেন মোমিনুল। নিজের হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়ে ফিরেন মোমিনুল। ৫৫ বলে ৮টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পরের বলেই ফিরেন মোমিনুল। পঞ্চম উইকেটে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন এবং সাকিব। দুজন মিলে যোগ করেন ৬১ রান। যা ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি। আর পুরো সিরিজে তৃতীয় অর্ধ শতরানের জুটি। কামিন্দু মেন্ডিসের প্রথম টেস্ট শিকার হয়ে ৩৬ রানে আউট হন সাকিব। ৩৮ রান করা লিটন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন কুমারর বলে বাজে শট খেলে। ব্যর্থতার ধারা ধরে রেখে এরপর শাহাদাত হোসেন ফিরেন ১৫ রান করে। চার টেস্ট খেলে এখনও কোনো হাফ সেঞ্চুরি করতে পারলেন না তরুণ এই ব্যাটসম্যান। আট ইনিংসে তার মোট রান ১১৮। যেখানে সর্বোচ্চ ৩১। ২৪৩ রানে ৭ উইকেট পতনের পর দিনের বাকি সময়টা পার করে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। দিনের শেষভাগে দুজন মিলে দলের রান আড়াইশ পার করান। দিনশেষে মিরাজ অপরাজিত ৭ চারের সাহায্যে ৪৯ বলে ৪৪ রান করে। আর তাইজুল ইসলাম অপরাজিত আছেন ১০ রান করে। তাদের দুজনের সংযোজন ২৫ রান।