বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ নানা সময় শিক্ষার্থীদের ওপর যারা হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও হয়রানিতে জড়িত ছিলেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের আসন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপ–উপাচার্যের (প্রশাসন) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আবাসিক হলে আসন পাওয়া কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনো শিক্ষার্থী হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন কিংবা হয়রানির অভিযোগ আনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আসন বাতিলও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আসন বরাদ্দ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে আমরা সম্পূর্ণ অটোমেশন পদ্ধতিতে আসন বরাদ্দ দিয়েছি। এক্ষেত্রে কে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়েছে তা দেখার সুযোগ নেই। তবে হলে আসনপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনো শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
এ সময় পরবর্তীতে হলে আসন বরাদ্দের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়নের কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, আসলে আমাদের হাতে খুব অল্প সময় ছিল বিধায় হলে আসন বরাদ্দের জন্য নতুন নীতিমালা করতে পারিনি। পূর্ববর্তী প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালাতেই আমরা আসন বরাদ্দ দিয়েছি। তবে আমরা নতুন নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
তিনি বলেন, পরেরবার আসন বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে অনুষদ ভিত্তিক পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে সব হলে সব অনুষদের শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা এবং বিভাগ ভিত্তিক অনুপাতে আসন বরাদ্দ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এখন আসন বরাদ্দ দেওয়ার সময় যে বিভাগ, সেশন অথবা অনুষদ সিট কম পেয়েছে অথবা পায়নি সামনে সিট বরাদ্দ দেওয়ার সময় তা দেখা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর সাইদুর রহমান চৌধুরীসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।












