হাফিজ সহ-সভাপতি ও দিদার সদস্য নির্বাচিত

সিজেকেএস উপ-নির্বাচন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুটি শূন্য পদের উপ-নির্বাচন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি পদের একটি ছিল সহ-সভাপতি এবং অন্যটি নির্বাহি সদস্য। তবে দুটি পদেই বলতে গেলে প্রায় একতরফা জয়লাভ করেছেন হাফিজুর রহমান এবং দিদারুল আলম। কার্যত কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি। বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন নির্বাচিতরা। সহ-সভাপতি পদে মো. হাফিজুর রহমান এবং নির্বাহী সদস্য পদে দিদারুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সিজেকেএস মিলনায়তনে কাউন্সিলররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ১৯৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৬৮ জন। সহ-সভাপতি পদে হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শাহজাদা আলম পেয়েছেন ২৩ ভোট। অন্যদিকে একটি নির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। নির্বাচিত দিদারুল আলম পেয়েছেন ১২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এনামুল হক পেয়েছেন ৪০ ভোট। অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রবীন কুমার ঘোষ পেয়েছেন মাত্র ৬ ভোট। গত নির্বাচনে তিনি ৪৪ ভোট পেলেও এবারে তার ভরাডুবি হয়েছে।
গত ২০১৯ সালে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে প্রার্থী হলেও শেষ পর্যন্ত সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন হাফিজুর রহমান। আর নির্বাহি সদস্য আবদুল বাসেত মৃত্যুবরন করলে সে পদটি শুন্য হয়। গতকাল সে দুটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। আর এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার পূর্ণাঙ্গ হলো চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটি। নির্বাচিত সহ-সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং সাবেক সহ সভাপতি। দীর্ঘদিন মাঠেই খেলোয়াড় হিসেবে তিনি সময় কাটান। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন পদে যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন হাফিজুর রহমান। নির্বাচন চলাকালে হাফিজুর রহমান বলেন আমি চেয়েছিলাম নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব আসুক। আজ সেটাই হলো। নির্বাচনে জয়লাভ করে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য নতুন কিছু করার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন হাফিজুর রহমান। এজন্য তিনি চট্টগ্রামবাসীর দোয়া চেয়েছেন। নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়া দিদারুল আলম চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যাডমিন্টন সম্পাদক ছিলেন। ব্যাডমিন্টন সম্পাদক হিসেবে তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যোগ্যতার সাথে পালন করেছিলেন। জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যাডমিন্টন ইভেন্ট তিনি সফলভাবে আয়োজন করেছিলেন। এবার নির্বাহি কমিটিতে এলেন তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনিও তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারেন সেজন্য সবার দোয়া কামনা করেছেন। নির্বাচনে জিতে সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান এবং নির্বাহী সদস্য দিদারুল আলম সব ভোটারকেই ধন্যবাদ জানান।
গতকাল নির্বাচনকালে দেখা গেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলররা দীর্ঘদিন পর ভোট দিতে পেরে দারুন তৃপ্ত। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হলে তার স্বাদটাও অনেক বেশি বলে মনে করেন নির্বাচিতরা। সিজেকেএস উপ-নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে গতকাল সকাল থেকেই উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। ভোট উপলক্ষে দীর্ঘদিন পরে স্টেডিয়াম এলাকায় উপস্থিত হতে পেরে তারা ছিলেন উৎফুল্ল। কারন দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচন হয় না। ভোট দেওয়ার সুযোগ পান না সিজেকেএস কাউন্সলররা। এবার উপ-নির্বাচন হলেও ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়ে সেটাকে কাজে লাগিয়েছেন ভোটাররাও। তবে সবার দৃষ্টিকটু লেগেছে সিজেকেএস কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য ভোট দিতে না আসায়। জানা গেছে তিনি আসবেন বলেও আসেননি। এছাড়াও সিজেকেএস কাউন্সিলরদেরও অনেকে ভোটদানে বিরত ছিলেন। গতকালের নির্বাচন পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাচন কমিশনার,সিজেকেএস কার্যনির্বাহী পরিষদ উপ-নির্বাচন ২০২১ মোছাম্মৎ সুমনী আক্তার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচারশ রানের লিড চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী নিবন্ধআফগানিস্তান জুড়ে বিস্ফোরণ, ৪ পুলিশ নিহত