‘এই লেইস ফিতা, লাল চুড়ি, নীল চুড়ি’। অন্য আর দশজন ফেরিওয়ালার মতোই হাতে চুড়ি, লেইস, ফিতার বাক্স নিয়ে ফেরি করেন হকার মো. জসিম উদ্দিন (২২) কিন্তু তার পূর্বনির্ধারিত গ্রাহক ছাড়া অন্য কারও কাছেই বিক্রি করেন না কিছু্।
তার এই অস্বাভাবিক আচরণ দেখেই তাকে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। পরে তার কাছ থেকেই উদ্ধার করে ২ হাজার পিস ইয়াবা। তার দেওয়া তথ্যে পরে মো. খাইরুল ইসলাম (২৫) নামে তার আরও এক সহযোগীকে আটক করা হয়।
গতকাল রবিবার (২০ ডিসেম্বর) তাদের আটকের বিষয়টি জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। বাংলানিউজ
আটক মো. জসিম উদ্দিনের বাড়ি হবিগঞ্জ ও মো. খাইরুল ইসলামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, “জসিম এবং খাইরুল লেইস ফিতা, চুড়ি ফেরির আড়ালে ইয়াবা পাচার করত। আমাদের টিমের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে। পরে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।”
ওসি মহসীন জানান, জসিম এবং খাইরুল মূলত ইয়াবা বহনকারী। তাদের নির্দিষ্ট বিক্রেতা ও ক্রেতা রয়েছে। বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিত। প্রশাসনের চোখ এড়াতে লেইস ফিতা হকারের বেশ ধরত।
এদিকে ৮৮৫ পিস ইয়াবাসহ মো. হেলাল উদ্দিন (৩৫) নামে আরও এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি মহসীন।
আটক মো. হেলাল উদ্দিন সাতকানিয়া উপজেলার মধ্যম কাঞ্চনা হাজারিখিল এলাকার মো. মোজাফফর আহমদের ছেলে।