হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আল আমিন সংস্হার মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলে আলোচনায় আসা মাওলানা মামুনুল হকের আগমনকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ।
যেকোনো মূল্যে তার আগমন ঠেকাতে ছাত্রলীগ অক্সিজেন-হাটহাজারী মহাসড়কের অক্সিজেন মোড়, আমান বাজার, বড়দীঘির পাড়, ফতেয়াবাদ, চবি ১নং গেইট সহ বিভিন্ন স্হানে অবস্হান করে মামুনুল হকের আগমন ঠেকানোর প্রস্ততি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম।
এদিকে হেফাজত ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী জানান, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক আগামীকাল শুক্রবার হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় জুমার নামাজ আদায় করবেন। সন্ধ্যায় আল আমিন সংস্হার মাহফিলে বয়ান করবেন।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে যা করা প্রয়োজন তা করা হবে।”
এদিকে আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদে মামুনুল হকের কুশপুত্তলিকা দাহ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগ।
এসময় আগামীকাল শুক্রবার মামুনুল হকের চট্টগ্রাম আগমন যেকোনো উপায়ে ঠেকাবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে মামুনুল হকের কুশপুত্তলিকা দাহ করে ছাত্রলীগ। এসময় উপস্থিত শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দ্রুত মামুনুল হকের গ্রেফতার দাবি করেন৷
এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু আজাদীকে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কটূক্তিকারী, জঙ্গি মদদদাতা হেফাজত নেতা মামুনুল হককে কিছুতেই চবি ক্যাম্পাসের সামনে দিয়ে যেতে দেব না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট দিয়ে তার গাড়ি হাটহাজারী যেতে দেব না। যেকোনো উপায়ে তাকে ঠেকানো হবে। ছাত্রলীগকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।”
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, “যেই বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বঙ্গবন্ধুকে অবমাননাকারী মামুনুল হককে বার আউলিয়ার চট্টগ্রাম কখনো মেনে নিবে না। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই মামুনুল হকের জামাতি প্রেতাত্মার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেব না।”
এসময় উপস্থিত শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দ্রুত মামুনুল হকের গ্রেফতার দাবি করেন৷
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি বক্তব্য দিয়েছিলেন হেফাজত নেতা ও ইসলামিক বক্তা মাওলানা মামুনুল হক।
বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এবং মাহফিল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গুড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।