হাজহাজারী উপজেলার বড়দীঘির পাড় এলাকায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মুসা সওদাগর নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক কয়েকঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাতটার দিকে বেপরোয়া গতির একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নির্মমভাবে প্রাণ হারান টেরিবাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী, উত্তর মাদার্শা এলাকার বাসিন্দা মুসা সওদাগর। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যরিকেড দিলে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি, চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রুটের বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। অনেকে পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার পর পুনরায় গাড়িতে উঠে গন্তব্যে পৌঁছেন। ঘটনাস্থলে জনতা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসটি আটকে রাখলেও চালক ও সহযোগী পালিয়ে যান। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।-বাংলানিউজ
বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে। একই এলাকায় তিন দিন আগেও মুহাম্মদ দিদারুল আলম বুলু’ নামের একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও গতিরোধক স্থাপনের দাবিতে সোমবার (১৬ নভেম্বর) মানববন্ধন করেছিলেন স্থানীয় লোকজন।
চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি বাস মিনিবাস মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, নাজিরহাট থেকে তৈরি পোশাক কারখানার কর্মীদের রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে বাসটি (চট্টমেট্রো জ ১১-১৭২৮) চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাওয়ার সময় একটি সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একজন পথচারী বাসের নিচে চাপা পড়েন। এ সময় বাসচালক হার্ড ব্রেক করায় বাসে থাকা দুইজন পোশাককর্মী আহত হন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন হাজারো যাত্রী। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, বাসচাপায় একজন পথচারী নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হওয়ায় মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।