হাটহাজারীতে রাশেদা আক্তার বাচু (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (২৪ মে) রাত দশটার দিকে পৌরসভার ৭নং ওয়াডস্থ আদর্শ গ্রামের দক্ষিণ পাহাড়ী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাচু একই এলাকার মৃত সিদ্দিক আহমেদের কন্যা। তিনি ২ মেয়ে ও ১ পুত্র সন্তানের জননী ছিলেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে উল্লেখিত এলাকার গুরা মিয়ার স্ত্রী রাশেদা আক্তার বাচু নামের এক গৃহবধূর নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের মাথায় গভীর জখমের চিহ্ন দেখা যায় এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল।
ওই এলাকার মাতব্বর খালেক রাত সাড়ে এগারটার দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, কয়েকদিন পূর্বে তারা স্বামী-স্ত্রী এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে সেখান থেকে তারা বাসায় ফিরে আসে। পরে গত শুক্রবার গৃহবধূরর ভাইয়েরা এসে স্বামী সিএনজি অটোরিকশা চালক গুরা মিয়াকে মারধর করলে সে বাড়ি থেকে চলে যায়।
এদিকে শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে স্বামী গুরা মিয়া নিজ বাসায় ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী বাচু গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রশিতে ঝুলতে দেখে স্বামী গুরা মিয়া স্ত্রীকে বাঁচাতে দ্রুত ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ নামিয়ে নেয়ার সময় স্ত্রীর মাথায় আঘাত লাগে।
সে আত্নহত্যা করার আগে ৪ পাতা ঘুমের ঔষুধও খেয়েছিলো বলে জানান মাতবর খালেক। স্বামী গুরা মিয়া তার স্ত্রীর বাবার বাড়ীর লোকজনদের ফোন করে ঘটনাটি জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এখন এটা আত্নহত্যা নাকি হত্যাকান্ড তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে । এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়েরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার এসআই মনিরুজ্জামান রাত সাড়ে এগারটার দিকে জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। পরে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী শনিবার রাত ১২ টার দিকে এ প্রতিবেদককে লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওসি স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত গৃহবধূর মাথায় জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী গুরা মিয়াকে আটক করা হয়েছে।