হাটহাজারীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৮ টি পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারগুলো।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ দৈনিক আজাদীকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার ১৫ নং বুড়িশ্চর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ মুকিম পাড়ার রাজার বাজার এলাকার মো.শাহ তালুকদার বাড়ীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, ঘটনারদিন গভীর রাতে (ধারনা করা হচ্ছে) বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ওই বাড়ির রোসা আকতার, মোঃ কামাল উদ্দীন, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, মোহাম্মদ আলম, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, ও মোহাম্মদ মহিম উদ্দিনসহ ৮ পরিবারের বসত ঘরসহ ঘরে রক্ষিত যাবতীয় মালামাল আগুনে পুড়ে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনায় ওই বাড়ীর বেশ কয়েকটি বসতঘর আগুনের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। এ ঘটনায় অগ্নিদূর্গতদের অন্তত ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এটা স্বাভাবিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নয়, কেউ ইচ্ছে করেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি শনিবার বিকালের দিকে দৈনিক আজাদীকে জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
১৫ নং বুড়িশ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহেদ হোসাইন দৈনিক আজাদীকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অগ্নিকান্ডের বিষয়টি রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে দূর্গত পরিবারের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।