দুই সাবেক চ্যাম্পিয়নের লড়াই। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সবচাইতে বড় ম্যাচ। হাই ভোল্টেজ সে ম্যাচে ইংল্যান্ড পারলনা জয় তুলে নিতে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হলো দুইবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। বারবাডোসে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ২০১ রান। জবাবে ইংলিশরা থামে ১৬৫ রানে। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাঁচ ম্যাচ পর চির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংলিশরা দুই ম্যাচেই রইল জয়শূন্য। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের লড়াইটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। এই ম্যাচে দুই দলের ইনিংসেই নেই কোনো ফিফটি। অথচ ম্যাচটিতে মোট রান হয়েছে ৩৬৬। কোনো ব্যক্তিগত ফিফটি ছাড়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক ম্যাচে যা সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। আগেরটি ছিল ২০১০ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের দুই ইনিংসে ৩২৭ রান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন হেড ও ওয়ার্নার। দ্বিতীয় ওভারে উইল জ্যাকসকে টানা দুই ছক্কা মারেন হেড। ওয়ার্নার মারেন একটি। মার্ক উডের ওভারে তিন ছক্কার সঙ্গে একটি চার মারেন ওয়ার্নার। ৩০ বলে ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পরপর দুই ওভারে বিদায় নেন তারা। মইন আলির বলে বোল্ড হন ১৬ বলে ৩৯ রান করা ওয়ার্নার। জফ্রা আর্চার ভেঙে দেন ১৮ বলে ৩৪ রান করা হেডের স্টাম্প। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৭৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে আরেকটি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি পায় অস্ট্রেলিয়া। ২৫ বলে ৩৫ রান করা মার্শের বিদায়ে ভাঙে ৬৫ রানের জুটি। পরের ওভারেই বিদায় নেন ম্যাঙওয়েল। তিনি করেন ২৮ রান। মার্কাস স্টয়নিসের ১৭ বলে ৩০ ও শেষ দিকে ম্যাথু ওয়েডের ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসে দুইশ পার করে অস্ট্রেলিয়া। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন দুইশ রানও নিরাপদ থাকেনা অনেক সময়। কিন্তু গতকাল ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাটলার ও সল্টের ব্যাটে ইংল্যান্ডের শুরুটাও হয় দারুপাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তুলে নেন এই দুই ব্যাটার। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান সল্ট। এডাম জাম্পা বল করতে এসেই ৩৭ রান করা সল্টকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন। এই লেগ স্পিনারের পরের ওভারে রিভার্স সুইপ করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ধরা পড়েন বাটলার। ২৮ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৮ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এরপর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে উইল জ্যাকস ও জনি বেয়ারস্টো বিদায় নিলে চাপে পড়ে ইংলিশরা। সেই চাপ কিছুটা কমানোর চেষ্টা করেন মইন। ম্যাক্সওয়েলের অফ স্পিনে মারেন তিন ছক্কা। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি প্যাট কামিন্স। ১৫ বলে ২৫ রান করেন মঈন। এরপর হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোনরা পারেননি দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দিতে। ফলে ১৬৫ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন হ্যারি ব্রুকস। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং এডাম জাম্পা।