আওয়ামীপন্থি বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাই কোর্ট চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীরা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এনেক্স ভবনের সামনের চত্বরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিচারপতিদের অপসারণের দাবিতে বক্তব্য রাখেন এবং এ সময় ‘শেখ হাসিনার বিচারক, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্ট সরকার’, ‘দলবাজ বিচারপতি’ বলে স্লোগান দেন।
একই সময়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে হাই কোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে ‘বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ’। এ সময় কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ ছাড়া সারাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ হওয়া পিপি, এপিপিদের অপসারণ দাবি করেন আইনজীবীরা। খবর বিডিনিউজের।
সেখানে ‘বৈষম্য ও গণহত্যা বিরোধী আইনজীবী সমাজের’ ব্যানারে সমাবেশে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, আয়েশা আক্তার, অ্যাডভোকেট এস এম নুরে এরশাদ সিদ্দিকীসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী। এস এম নুরে এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, ২০০৯ সালের পর নিয়োগ হওয়া বিচারপতিদের পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে তাদের অপসারণ করতে হবে।
আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিলও করেন। মিছিলটি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে এনেক্স ভবন হয়ে মূল ভবন পর্যন্ত যায়। পরে আবার একই পথে ফিরে আসে এবং এরপর এনেঙ ভবন চত্বরে আবার সমাবেশে মিলিত হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে যাত্রা করে ছাত্রদের মিছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্র হল ঘুরে মিছিলটি কলাভবনের সামনে দিয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসে। পরে বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে মিছিল বের করে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে হাই কোর্টের দিকে যান তারা। মিছিল থেকে ‘লড়াই লড়াই, লড়াই করো, হাই কোর্ট ঘেরাও করো,’ ‘আওয়ামী লীগের বিচারক, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘শেখ হাসিনার বিচারক, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে হাই কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেন।