সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির দণ্ড বহালের হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হয়েছে। খবর বাসসের।
রায় প্রদানকারী বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের স্বাক্ষরের পর এই রায়ের কপি (প্রকাশিত) সেকশনে গিয়েছে বলে গতকাল জানান মেজর সিনহার পরিবারের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। এই আইনজীবী বলেন, দ্রুতই এই রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কঙবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ–পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী কঙবাজারে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। সে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে গত ২ জুন বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপসহ অপর আসামিদের দণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।












