হল্যান্ড থেকে

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

শান্তিছাড়া আরো পাঁচটি বিষয়ে (ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, মেডিসিন, সাহিত্য ও অর্থনীতি) প্রতি বছর নোবেল পুরস্কারদেয়া হলেও বিশ্বজুড়ে সবার আগ্রহ ও উৎসাহ বেশি দেখা যায় শান্তিপুরস্কারকে ঘিরে। কে বা কোন প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কার পেতে যাচ্ছে ঘোষণার অনেক আগ থেকে এই নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ থাকেনা। বেশ কিছু নাম ঘোষণার আগেই আলোচনায় উঠে আসে। অনেকে আশানিরাশায় দোলেন। কেউ কেউ নিজেকে প্রকাশ্যে দাবি করেন নোবেল পুরস্কার পাবার যোগ্য বলে। যেমনটি সমপ্রতি আমরা দেখেছি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে। আবার পুরস্কার পাবার কোন আশা না করেও দেখা গেছে কাউকে কাউকে পুরস্কার পেতে। যেমনটি ঘটেছিল আজ থেকে ৯৪ বছর আগে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষেত্রে। অবশ্য তিনি পেয়েছিলেন সাহিত্যে, শান্তিতে নয়। তার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি সংবাদটিও বেশ মজার। ১৯৩১ সাল। নভেম্বরের মাঝামাঝি এক ঠান্ডা কিন্তু ঝলমলে রোদ মাখানো দিনে তিনি ছেলে রথী ও কয়েক বিদেশী পর্যটক সহ বীরভূমের বিখ্যাত শাল ও পিয়াল গাছ দেখার উদ্দেশ্যে গাড়িপথে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি যখন ডাকঘরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন এক লোক টেলিগ্রাম হাতে দৌড়ে এসে বলেন, ‘কর্তা, আপনার জন্যে।কবি তার কাছ থেকে টেলিগ্রামটি নিয়ে না পড়ে তার জোব্বার পকেটে রেখে দিলেন। উত্তেজিত কণ্ঠে লোকটি বলেন, ‘এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে।কৌতূহলী সঙ্গীরা কবিকে টেলিগ্রামটি খোলার জন্য অনুরোধ করেন। রবীন্দ্রনাথ পকেট থেকে টেলিগ্রামটি বের করে অলসভাবে ঠিকানাটির দিকে তাকালেন। টেলিগ্রামটি তার জোড়াসাঁকোর ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল এবং তার মেয়ের জামাই, নগেন্দ্রনাথ তা শান্তিনিকেতনের ঠিকানা পাঠিয়ে দেন। খামটি খুলে তিনি টেলিগ্রামের দিকে তাকালেন। তাতে ইংরেজি বড় অক্ষরে লেখা -‘সুইডিশ একাডেমি আপনাকে নোবেল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করেছে।রবীন্দ্রনাথ লাইনগুলি তিনবার পড়লেন। ভাবেন ভাষাটি কি ভুল? নাকি তিনি অর্থের ভুল ব্যাখ্যা করছেন? তার বন্ধু রোদেনস্টাইন তাকে বলেছিলেন যে, টমাস মুর নোবেল পুরস্কারের জন্যে গীতাঞ্জলিকেসুইডিশ একাডেমিতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু জয়ের সম্ভাবনা এতটাই দূরের যে, পুরস্কার পাবেন সেটি তার মাথায়ও আসেনি। টেলিগ্রামটি হাতে নিয়ে কবি যেন অন্য জগতে চলে গেলেন। কী প্রতিক্রিয়া জানাবেন ভেবে না পেয়ে টেলিগ্রামটি ছেলে রথীর হাতে দিলেন।

রবীন্দ্রনাথের মত অবাক হয়েছেন চলতি বছর (২০২৫) শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ভেনিজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একনায়কতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্যে যে অক্লান্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেনতারই স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। কোরিনা মাচাদোকে যখন ফোন করে নরওয়ের নোবেল কমিটির সেক্রেটারি, ক্রিস্টিয়ান বের্গ হার্ভিকেন তার পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জানান তখন অনেকটা বাকরুদ্ধ মাচাদো বলেন, ‘ওহ মাই গড! আমার কোন ভাষা নেই। আমি এর যোগ্য নই।তবে কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণার পর অনেকেই সমালোচনা করেছেন নোবেল কমিটির। কোডপিংনামের একটি নারীবাদী সংগঠনের ল্যাটিন আমেরিকান কোঅর্ডিনেটর ও জন্মসূত্রে ভেনেজুয়েলার নাগরিক, মিচেল এলেনার লিখেন, ‘কোরিনা মাচাদোর মত ডানপন্থীরা যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতে তখন শান্তির আসলে কোন অর্থ হয়না।তার (মাচাদো) বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভেনেজুয়েলাকে স্বাধীনকরতে বিদেশী সেনাদের হস্তক্ষেপের আহবান জানিয়েছেন। কোরিনা মাচাদোর মত পুরস্কারের আশা করেননি ভূতপূর্ব মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও জনগণের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার জন্যে তার অসাধারণ প্রচেষ্টারকারণে নোবেল কমিটি তাকে ২০০৯ সালে শান্তি পুরস্কার দেয়। মজার ব্যাপার হলো, ওবামা এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে এতই অবাক হয়েছিলেন যে তিনি নিজে এই সম্মাননা নিয়ে বিভ্রান্তির কথা স্বীকার করে কয়েক বছর পর বলেছিলেন, তিনি এখনো নিশ্চিত নন কেন তিনি এটি পেয়েছেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনে সক্রিয় ছিল। সম্ভবত নোবেল কমিটি ধরে নিয়েছিল যে আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার করতে সক্ষম হবেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বারাক ওমাবা কতটুকু সফল হয়েছেন আগামীতে তা বিচার করবে ইতিহাস।

() ডোনাল্ড ট্রাম্প: ফিরে আসি ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের কাহিনীতে। চলতি বছরের শুরুতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের যোগ্য হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সামপ্রতিক সময়ে বিশ্বের আটটি যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রেখেছেন বলে তিনি দাবি করেন। তাকে পুরস্কারের জন্যে ইসরায়েল ও পাকিস্তান সরকার প্রকাশ্যে জানান দিয়েছিলেন। তবে তাদের এই প্রকাশ্যে মনোনয়ন ঘোষণার পেছনে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ছিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। কেবল তাই নয়, সুইডেন এমন কী নরওয়ের কতিপয় আইনজীবী ও আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের মনোনয়নকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প যে এই বছর নোবেল প্রাইজ পাবেন না তা অনেকটা ধরে নেয়া হয়েছিল। সেকথা বুঝি তিনি নিজেও টের পেয়েছিলেন। আর টের পেয়েছিলেন বলেই ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘বিশ্বের শান্তির জন্যে এতকিছু করার পরেও আমি জানি আমাকে এই পুরস্কার দেয়া হবেনা। অথচ কোন কিছু নাকরার জন্যে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে বারাক ওবামাকে।ট্রাম্পের এই দাবি একেবারে ফেলে দেয়ার মত নয়। কেননা ওবামা নিজেই স্বীকার করেছিলেন, তিনি জানেন না তিনি কেন এই পুরস্কার পেলেন। সে কথা এই লেখায়ও উল্লেখ করেছি একটু আগে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউজ স্বাভাবিকভাবে হতাশ। পুরস্কার ঘোষণার পর ট্রাম্প কোন মন্তব্য না করলেও হোয়াইট হাউজ এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবর্তে ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রপন্থী এক কর্মীকে নোবেল কমিটি তাদের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পুরস্কার প্রদানের জন্য শান্তির চাইতে রাজনীতিকে প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগ করে। প্রশংসনীয় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নোবেল বিজয়ী মাচাদোকে ফোন করে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, তিনি (মাচাদো) এটি পাবার যোগ্য। অন্যদিকে পুরস্কার ঘোষণার পর মাচাদো এক্সেদেয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘এই পুরস্কার আমি ভেনেজুয়েলার দুঃখক্লিষ্ট জনগণ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছি, যিনি আমাদের সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছেন। দেশে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসাবে এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। তবে এই পুরস্কার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি আরো বলেন, শান্তির লক্ষ্যে ট্রাম্প যা করছেন তার জন্যে আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। ট্রাম্পের পুরস্কার নাপাওয়া নিয়ে নোবেল কমিটিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে এর মুখপাত্র বলেন, ‘এই কমিটি এমন একটি কামরায় বসে যেখানে সকল বিজয়ীদের প্রতিকৃতি রয়েছে এবং সেই কামরাটি সাহস ও সততা দিয়ে পূর্ণ। তাই আমরা কেবল আলফ্রেড নোবেলের কর্ম ও ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই।ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুরস্কার না দেয়ার পেছনে কেউ কেউ এই যুক্তি দেখান যে তিনি বিশ্বের কয়েকটি সংঘাত বন্ধ করতে সক্ষম হলেও তিনি শান্তি ও পরিবেশবিরোধী অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন যা বিশ্বশান্তির জন্যে মঙ্গল বয়ে আনতে পারেনা।

() সমালোচনা ও বিতর্ক: সকল কাজের প্রশংসা ও সমালোচনা থাকবেই। তা কাজটি যত ভালো হোক কিংবা মন্দ। নোবেল পুরস্কার নিয়েও তর্ক ও সমালোচনারও কমতি নেই। সব চাইতে বেশি বিতর্ক দেখা দিয়েছিল ১৯৭৩ সালে, যখন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী, হেনরি কিসিঞ্জার শান্তির জন্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ওয়ার্কার্স পার্টি অফ ভিয়েতনামের নেতা, লি ডাক থোর সাথে হেনরি কিসিঞ্জার যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। থো এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তবে ভিয়েতনামযুদ্ধ বিরতিতে কিসিঞ্জারের ভূমিকা থাকলেও বিভিন্ন দেশে ক্যু ও সামরিক হস্তক্ষেপে তার ভূমিকার কারণে নোবেল কমিটি সমালোচিত হয়। কিসিঞ্জারের নাম যখন ঘোষণা করা হয় তখন এর প্রতিক্রিয়া এতটাই তীব্র ছিল যে নোবেল কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন এবং সমালোচকরা এই সিদ্ধান্তকে নোবেলযুদ্ধ পুরস্কারবলে উপহাস করেছিলেন। অন্যদিকে, ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিমন পেরেজ ও প্রধান মন্ত্রী ইৎজাক রবিন ও প্যালেস্টাইনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ১৯৯৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেও সমালোচনা উঠে আসে। ফিলিস্তানি জনগণের স্থায়ী দুর্ভোগের জন্যে পেরেজ অনেকাংশে দায়ী বলে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে এই পুরস্কার দেয়ার জন্যে সমালোচনা হয়। একইভাবে এক সময় প্রশ্নবিদ্ধ হয় মিয়ানমারের শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক অং সান সু চিকে ১৯৯১ সালে দেয়া নোবেল শান্তি পুরস্কার। মিয়ানমার সামরিক শাসনের বিরোধিতার জন্যে গৃহবন্দী অবস্থায় তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর সু চি রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের জাতিগত নির্মূল ঘটনার নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানান। বিভিন্ন মহল থেকে তার পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি উঠে। নোবেল কমিটি জানায় তারা কোন বিজয়ীর ভবিষ্যতের কর্মকান্ডের জন্যে কোন দায়বদ্ধতা রাখেনা। অহিংস প্রতিবাদ ও আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর বিশাল প্রভাব থাকা সত্ত্বেও এবং একাধিক মনোনয়ন সত্ত্বেও তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়নি। এই নিয়ে সমালোচনাও কম সইতে হয়নি কমিটিকে। আর তাই কমিটি এরপর থেকে মাঝে মাঝে প্রতীকীভাবে এই অনুপুস্থিতি (ভুল) শোধরানোর চেষ্টা করে। সে কারণে দেখা যায় ১৯৮৯ সালে দালাই লামাকে নোবেল পুরস্কার দেবার সময় কমিটি স্পষ্টভাবে গান্ধীর উত্তরাধিকারের (লেগাসি) কথা উল্লেখ করে।

সবশেষে: গতকাল মিশরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচের কয়েকটি রাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের গত দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধ, সংঘাতের অবসান ঘটে। এই চুক্তির সফলতার জন্যে ইসরায়েল সহ কয়েকটি দেশ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শতভাগ কৃতিত্ব দেয়। ইসরায়েল পার্লামেন্টে প্রধান মন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং মিশরের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরীফ ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যে আবার মনোনয়ন দেবেন বলে ঘোষণা দেন। নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা তুমুল করতালির মধ্যে ঘোষণা করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া আর কেউ নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যে যোগ্য নন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল, সম্ভব হলে তারা সেদিনই আগ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ট্রাম্পকে দিয়ে দেন। নোবেল ইতিহাসে এইভাবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেবার জন্যে এমন চাপ দেয়া হয়েছে বলে জানা নেই। আগামী বছর শান্তি পুরস্কার কাকে দেয়া হবে এই নিয়ে নোবেল কমিটি যে এখন থেকে এক ধরনের অদৃশ্য চাপের মধ্যে থাকবে সে কথা বলা বাহুল্য। সবার দৃষ্টি আগামী বছরের এই সময়টার দিকে। দেখা যাক ততদিনে ভূরাজনীতিতে কী পরিবর্তন ঘটে। সে অপেক্ষায়। (১৪১০২০২৫)

লেখক : সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কলামিস্ট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সম্প্রসারণ ও রেল ব্যবস্থা উন্নয়ন সময়ের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধঅটিস্টিক শিশুর ইকোলালিয়া: একটি অনৈচ্ছিক আচরণ