চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহজালাল হলের জানালার দুইটি গ্রিল টেক্সি করে বিক্রির উদ্দেশ্য নেওয়ার পথে জিরোপয়েন্ট গেটে আটক হন মোহাম্মদ জুয়েল নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে জিরোপয়েন্ট গেটে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন এবং পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় প্রক্টরিয়াল বডি। আটক ছাত্রলীগ কর্মী ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ১৭–১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সিক্সটি নাইনের অনুসারী জুয়েল। তিনি বিলুপ্ত কমিটির সহ–সম্পাদক ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোহাম্মদ জুয়েল ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে। ক্যাম্পাসে যেকোনো গাড়ি ঢুকলে চাঁদা আদায় করেন জুয়েল। এছাড়া অপরিচিত কেউ ক্যাম্পাসে ঢুকলে তাদের আটক করেও টাকা আদায় করতেন। মূলত মাদকের টাকার জন্যই এসব অপকর্ম করতেন বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
আটক শিক্ষার্থী প্রশাসনের কাছে মুচলেকায় বলেন, ‘আমি ভুলবশত পরিত্যক্ত জানালার দুইটি গ্রিল টেক্সি যোগে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে শাহজালাল হল হতে বাইরে নেওয়ার পথে জিরোপয়েন্ট গেটে আটক করে এবং প্রক্টর মহোদয় উপস্থিত হলে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করব না মর্মে অঙ্গীকার করলাম। যদি ভবিষ্যতে করি পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নেবে তা আমি স্বাচ্ছন্দ্যে মেনে নিবো।’ এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর অহিদুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি। সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রিফাত রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, প্রক্টর স্যার ছিলেন। আটক শিক্ষার্থী আমার বিভাগের। সে আর এরকম কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করেছে। আমরা তার আরও অভিযোগের ব্যাপারে শুনেছি, ব্যবস্থা নেওয়া হবে এসব বিষয়ে। এ ব্যাপারে সিক্সটি নাইনের নেতা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, তার আগের অভিযোগের ব্যাপারে আসলে অবগত না আমি। আজকের (বৃহস্পতিবার) বিষয়টা শুনেছি। আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।