হরতালকালীন তাণ্ডব চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা: হেফাজতে ইসলাম

হাটহাজারী প্রতিনিধি | শনিবার , ৩ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী বাহিনী গুপ্ত হামলা চালিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস করেছে দাবি করে নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, “প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করার সাংবিধানিক অধিকার থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় হেফাজতে ইসলাম শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হরতাল ও বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সহায়তায় নিয়োজিত চাপাতি-রামদা হাতে হেলমেট পরিহিত আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় গুপ্ত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমরা এ ধরনের গুপ্ত হামলা ও তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা জানাই। বিরোধী পক্ষের ওপর দায় চাপানোর জন্য এ ধরনের গুপ্ত হামলার ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে।”
তিনি আরো বলেন, “বিজিবিসহ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা সত্ত্বেও আওয়ামী গুণ্ডাবাহিনী কর্তৃক অগ্নিসংযোগ ও তাণ্ডব চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্বাভাবিক নিষ্ক্রিয়তা ও অনুপস্থিতির বিষয়টি মূলধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এমনকি প্রথম আলোর এক রিপোর্টে আমরা জানতে পেরেছি, হরতাল চলাকালীন হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জন্য পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।”
আজিজুল হক বলেন, “আশ্চর্যের বিষয় হলো, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় এত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল অথচ তাণ্ডবকালীন হামলাকারীদের কোনো ভিডিও ফুটেজ বা ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। কারা হামলা করল বা তাণ্ডব চালালো—সিসি ক্যামেরায় নিশ্চয়ই সেসবের ভিডিও ফুটেজ থাকার কথা কিন্তু সেসব ফুটেজ এখনো প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন? ফলে সবমিলিয়ে এটা বলা সঙ্গত যে হেফাজতকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের গুপ্ত হামলার তাণ্ডব ঘটানো হয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধযাত্রীবাহী ট্রেন চলবে না ৫ এপ্রিল থেকে
পরবর্তী নিবন্ধরিসোর্টে নারীসহ ঘেরাও হেফাজত নেতা মামুনুল