হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি

আটক ৩ শিক্ষকের একজনের রিমান্ড

বোয়ালখালী প্রতিনিধি | সোমবার , ৭ মার্চ, ২০২২ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ অছিয়র রহমান হেফজখানার ছাত্র ইফতেখার মালিকুল মাশফিক হত্যার রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গত শনিবার রাতে নিহত মাশফিকের মামা মাসুদ খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন। এরপর পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ৩ শিক্ষককে গতকাল আদালতে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে জাফর আহমেদ (৬০) নামে একজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বাকি ২ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
নিহত মাশফিকের মামা মাসুদ খান জানান, আমার বোন ইয়াছমিন আকতারের হুঁশ নেই দুদিন ধরে। বোনের জামাই আবদুল মালেক ভিসা জটিলতায় প্রবাসে ছটফট করছেন। পরিবারটির সবার এখন পাগলপ্রায় অবস্থা। আমি খোঁজ নিতে থানায় গেলে পুলিশ একটা কাগজে আমার স্বাক্ষর নেয়। সেটা মামলা নাকি অন্য কিছু তা আমাকে জানায়নি।
নিহতের ভাই মাজেদ বলেন, আমার ভাই কয়েকদিনের মধ্যে আমপাড়া নেয়ার কথা ছিল। তাকে মাদ্রাসায় পাঠানোর পরের দিন সকালে খবর পাই সে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে রুম থেকে বের হয়। তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। পরে মাদ্রাসায় গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দোতলার স্টোররুমে কম্বল মোড়ানো, গলা কাটা অবস্থায় মাশফিককে দেখতে পাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।
এদিকে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ওই মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ক্যামেরা চেক করলে ঘটনার রহস্য জানা যাবে। তাদের ধারণা, সিসি ক্যামেরা নষ্ট বলে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা চলছে। উচ্চ পর্যায়ে এর তদন্ত দাবি করেন তারা।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, মাশফিক হত্যা মামলায় তিন শিক্ষকের মধ্যে আদালত জাফর আহমদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে বোয়াখালীর পশ্চিম চরণদ্বীপ হযরত মাওলানা অছিয়র রহমান হেফজখানার স্টোররুম থেকে মাদ্রাসা ছাত্র মাশফিকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিতুর বাবার নারাজি পিটিশন গ্রহণ করেননি আদালত
পরবর্তী নিবন্ধপ্রদীপের স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে কর কর্মকর্তাসহ আরো ৭ জনের সাক্ষ্য