বান্দরবানের রাজবিলায় অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৬ আসামীকে যাবজ্জীবন এবং দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু হানিফের আদালত এই রায় দেয়।
আদালত ও আইনজীবিরা জানান, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের চাইপাড়া থেকে ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল ক্যথই মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা।
পরদিন পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে অপহৃতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হ্লামেনু মারমা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৫ জন সাক্ষী এবং চার আসামীর স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত পাঁচজন সহ ৬ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু হানিফের আদালত।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো উবাচিং মারমা, সাচিং প্রু মারমা, মংহ্লাচিং মারমা, রেজাউল করীম, উমংপ্রু মারমা।
অপরজন পলাতক আসামী পুলুশে মারমা। অর্থদণ্ডের অর্থ হতে অর্ধেক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এবং অবশিষ্ট অর্ধেকাংশ ভিকটিমের স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদানের আদেন দেয়া হয়। আইনজীবী মো. ইকবাল করিম জানান, স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল কবীরকে অপহরণ করাকে কেন্দ্র করে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে মামলার ভিকটিম ক্যথুই চিং মারমাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয় ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে।
তিনি বলেন, “এ ঘটনায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আদালত ৬ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এবং প্রত্যেক আসামীকে ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে সাজা কার্যকরে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।” ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম।
