সাতকানিয়ার আলোচিত শফিকুল ইসলাম মিয়া হত্যা মামলার ১ আসামীকে পার্বত্যজেলা বান্দরবানের লামা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম ছৈয়দ করিম (৩২)।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাতে লামার পাইতং এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করে। পরে লামা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সাতকানিয়ায় নিয়ে আসা হয়।
জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর ভোরে সাতকানিয়ার বাইতুল ইজ্জত হরিণতোয়া রাস্তার মাথা এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পরপর মোটরসাইকেলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ তার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে অপর একটি মোটরসাইকেলযোগে চোরদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের সাতকানিয়ার বাইতুল ইজ্জত আমতল এলাকায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেলসহ এক চোরকে আটক করে।
আটকের পর মোটরসাইকেলের মালিক সবুজ আমতল এলাকায় থাকা তার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম মিয়াকে ফোন করে ডেকে আনেন। তখন শফিকুল ইসলাম মিয়া আটককৃত চোরদের সাথে কথা বলছিলেন। এসময় পেছন দিক থেকে মোটরসাইকেল চোরদের ২ সহযোগী এসে শফিকুল ইসলাম মিয়ার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে শফিকুল ইসলাম মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান।
এ ঘটনায় ঐদিন নিহত শফিকুল ইসলাম মিয়ার ভাই জাহাঙ্গীর আলম সবুজ বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে লামা থানার পাইতং এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা চোরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এসময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চোর ছৈয়দ করিম সাতকানিয়ায় মোটরসাইকেল চুরি ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ লামা থানায় গিয়ে ছৈয়দ করিমকে গ্রেপ্তার করে সাতকানিয়ায় নিয়ে আসে।
গ্রেপ্তারকৃত ছৈয়দ করিম আলীকদম থানার দক্ষিণ-পূর্ব পালংপাড়ার মৃত জালাল আহমদের পুত্র।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত ছৈয়দ করিমের বিরুদ্ধে লামা ও চকরিয়া থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাতকানিয়ার বাইতুল ইজ্জত থেকে মোটরসাইকেল চুরি ও শফিকুল ইসলাম মিয়া হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত হওয়ায় তাকে আপাতত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরে আদালতে প্রেরণ করা হবে।