চন্দনাইশে হত্যা মামলার আসামিকে ধরে পুলিশে দিয়েছে মামলার বাদী ও স্থানীয় লোকজন। গতকাল রাতে মকবুল ইসলাম প্রকাশ মুহিবুল্লাহ (৩২) নামে রোহিঙ্গা ওই আসামিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মাইনিরছড়া নামক স্থানে আবু ছালেকের ছেলে শহিদুল ইসলাম মহেশখালী এলাকার এক নারীকে ৪/৫ বছর আগে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে মিয়ানমার থেকে মাইনিরছড়া এলাকায় কাজে আসা রোহিঙ্গা মুহিবুল্লাহর সাথে শহিদুলের স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা মুহিবুল্লাহকে আটক করে। এ নিয়ে সামাজিক বিচারে ওই নারী তার স্বামী শহিদুলকে ছেড়ে মুহিবুল্লাকে বিয়ে করে অনত্র চলে যান। কিছুদিন আগে মুহিবুল্লাহ স্ত্রীকে নিয়ে শহিদুলের বাড়ির এলাকায় চলে আসেন। এদিকে এর এক মাস আগে শহিদুলও আরেকটি বিয়ে করেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা শুরু হয়। ঘটনারদিন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পাহাড়ি অঞ্চল মাইনিরছড়া এলাকায় শহিদুল ও মুহিবুল্লাহর দেখা হলে দুজনই পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় মুহিবুল্লাহ শহিদুলকে মেরে মাইনিরছড়া এলাকায় ফেলে আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। এদিকে শহিদুল শেষ বিকেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাইনিরছড়া এলাকায় রক্তান্ত অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপর আহত অবস্থায় রোহিঙ্গা মুহিবুল্লাহ পালিয়ে যায়। মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারের রহমতুল্লাহর ছেলে। ঘটনার খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানা পুলিশ নিহত শহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই তহিদুল ইসলাম (২৮) বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মামলার বাদী ও স্থানীয় লোকজন মহেশখালী থানা এলাকা থেকে মুহিবুল্লাহকে রাতেই চন্দনাইশ থানায় সোপর্দ করে।
চন্দনাইশ থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান জানান, হত্যা মামলার আসামি মুহিবুল্লাহ নামের ওই রোহিঙ্গা যুবককে মামলার বাদী ও স্থানীয়রা মহেশখালী থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।