নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর পিলখানা এলাকার মাদ্রাসা ছাত্র আরমান হোসেনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই ছাত্রের বাবা। গত মঙ্গলবার রাতে নিহত আরমান হোসেনের বাবা আব্বাস উদ্দিন ছেলেকে সংঘবদ্ধভাবে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন বলে জানান পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৭ মার্চ বিকাল ৫টা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কোনো এক সময়ে আরমানকে অজ্ঞাত ব্যক্তি-ব্যক্তিরা মাদ্রাসার ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে। একইদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাদ্রাসার পরিচালক আব্দুল মান্নান তার মোবাইল নম্বরে ফোন করে আরমান বাসায় এসেছে কিনা জানতে চান। সে বাসায় আসেনি জানালে, কিছু না বলে ফোন কেটে দেওয়া হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবারও তাকে ফোন করে মাদ্রাসায় যেতে বলেন আব্দুল মান্নান। পরে সাড়ে ১১টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে চারতলা ভবনের দক্ষিণ পাশে খালি জায়গায় মাটিতে পড়ে থাকা ছেলের লাশ দেখতে পান। পরে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরমানের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। লাশ উদ্ধারের পর ওই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করলেও তার বাবার সন্দেহ ছিল মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়নে বাধা দেওয়ায় তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।