হজযাত্রী কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা গত ১৫ জানুয়ারি নগরীর স্টেশন রোডের একটি হোটেলে পরিষদের সভাপতি আহমদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের মহাসচিব অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম। সভায় বক্তারা হজের ব্যয় আরও কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বক্তারা বলেন, যেখানে হজের কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন, সেখানে গতকাল পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি মিলে ৪০ হাজার জনও পূর্ণ হয়নি। এটা বাংলাদেশে হজের ইতিহাসে প্রতিকূলতায় এই প্রথম। গত বছর বার বার সময় বাড়িয়ে হজের কোটায় প্রায় ৪০ হাজার জন কমছিল। এবারে একাধিক বার বাড়িয়েও বাংলাদেশের ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন কোটার মধ্যে এই পর্যন্ত তিন ভাগের এক ভাগও পূর্ণ হয়নি। আগামী ১৮ জানুয়ারি হজে যাওয়ার চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন শেষ হচ্ছে। হজের ব্যয় দ্বিগুণের মত বেড়ে যাওয়ায় আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও আর্থিক প্রতিকূলতায় হজের এই পরিস্থিতি। সভায় নেতৃবৃন্দ আগামী ২৭ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে স্টেশন রোডস্থ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল সৈকতের হলরুমে ‘হজ, ওমরাহ ও জিয়ারত প্রশিক্ষণ’ সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সালেহ আহমেদ সুলেমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আবু মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এ.কে.এম সাইফুদ্দীন, কাজী মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মুহাম্মদ শরীফ, যাহেদুর রহমান যাহেদ, মুহাম্মদ ইদ্রিস আগ্রাবাদী, এড. মো. ছমি উদ্দিন, এড. মুহাম্মদ ইলিয়াস, অধ্যক্ষ ডা. মো. নুরুল আমিন, মুহাম্মদ নাঈম, কাজী আরিফুল ইসলাম, মুহাম্মদ জসিম, মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান শাকিল, হারুনুর রসিদ, হুমায়ুন কাদের খান খসরু, আবদুল হামিদ, এড. নুরুল আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন, কমর উদ্দিন, মুহাম্মদ ইকবাল, মুহাম্মদ আসিক, আবুল ফজল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।