হকারদের পুনর্বাসনে নতুন মেয়র যেন উদ্যোগ নেন, সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন চকবাজারের হকার মো. আবুল বশর। এজন্য চসিকের উদ্যোগে আলাদা হকার মার্কেট নির্মাণের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। নতুন মেয়রের কাছে কি প্রত্যাশা করেন? জানতে চাইলে এসব কথা কথা বলেন তিনি।
চকবাজার কেয়ারি ইলিশিয়ামের সামনের ফুটপাতে ব্যবসা করেন মো. আবুল বশর। প্রায় আড়াই বছর ধরে সেখানে কাপড়সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আসবাব বিক্রি করে আসছেন। বর্তমানে প্যান্টের পাশাপাশি মাস্ক, গ্ল্যাভস, কানটুপি বিক্রি করছেন। কথা প্রসঙ্গে জানালেন, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। তবে চট্টগ্রাম রয়েছেন ৭২ সাল থেকে।
নতুন মেয়রের কাছে কোনো চাওয়া আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, চৌধুরী সাহেবের (মহিউদ্দীন চৌধুরী) আমলে অনেক শান্তিতে ব্যবসা করেছি। খুব ভাল ছিলাম। নাছির সাহেবের (আ জ ম নাছির উদ্দীন) সাহেবের আমলে অনেক নিয়ম কানুন করেছিল। সময় বেধে দিয়েছিল। সেটাও খারাপ ছিল না। এখন আমরা চাইবো নতুন মেয়রের আমলে আমাদের ব্যবসায় যেন কোনো বাধা দেয়া না হয়।
মো. আবুল বশর বলেন, হকারদের পুনর্বাসন করা হোক। আলাদা মার্কেট করা হোক। এটা হলে সব সমস্যা মিটে যাবে। রাস্তাঘাটে তখন আর কেউ থাকবে না। রাস্তায় ঝামেলা করা তো ভাল না, সেটা আমরা নিজেরাও বুঝি। এটা অবৈধ, সেটাও বুঝি। বিদেশে বেশ কয়েক জায়গায় ঘুরেছি। সেখানেও হকার আছে। তবে আমাদের মতো না। সেখানে বিভিন্ন মাঠে বসে। আমরা রাস্তা-ফুটপাতে বসি। আসলে এটা ঠিক না। সরকারি রাস্তা। গাড়ি চলবে, মানুষ হাঁটবে। তাই সেখানে বসে ব্যবসা করতে আমাদেরও ভালো লাগে না। কিন্তু উপায় নাই দেখে ব্যবসা করি। যদিও সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে। তারপরও পেট চালাতে, সংসারের খরচ যোগাতে ব্যবসা করতে হচ্ছে। এখন হকারদের জন্য আলাদা মার্কেট হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।
তিনি বলেন, আমি একসময় কুয়েত ছিলাম। দুবাইও অনেক বছর ছিলাম। সেখানে সরকার তাদের নাগরিকদের জন্য অনেক সুবিধা দেয়। এখানে আমরা তেমন পাই না। তবে তাদের তুলনায় আমাদের রাষ্ট্র তো গরীব। সেটা আমরা বুঝি। তাই নিজে কিছু করে খাইতে, চলতে পারলেই খুশি। মেয়র যেন সেটা খেয়াল রাখেন।