হংকংয়ের উচ্চ আদালত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে হওয়া এক বিচারে গণতন্ত্রপন্থী ৪৫ আন্দোলনকারীকে চার থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। নাশকতা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০২১ সালে মোট ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বেইজিং–আরোপিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের। তাদের মধ্যে সাবেক আইনজ্ঞ বেনি তাইকে আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পশ্চিম কাউলুন হাকিম আদালতে ১১৮ দিন ধরে চলা বিচারের পর মে মাসে ১৪ গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী দোষী সাব্যস্ত হন। তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক গর্ডন এনজি এবং আন্দোলনকারী ওয়েন চাও অন্যতম। বিচারের মুখোমুখি হওয়া ৪৭ আন্দোলনকারীর মধ্যে ৩১ জন দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আর বাকি দুইজনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সাজা পাওয়া ৪৫ জনকে চার থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের প্রণয়ন করা জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বেনি তাইকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে দেওয়া সবচেয়ে দীর্ঘ কারাবাসের দণ্ড এটি। হংকংয়ের বিশিষ্ট আন্দোলনকারী জোশুয়া ওংকে চার বছর আট মাসের আর চাওকে সাত বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যতম আন্দোলনকারী সাবেক সাংবাদিক গুয়েনাস হো–কে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক আন্দোলনকারী হেনড্রিক লুইকে চার বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।