ইদানীং সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। কোনভাবেই যেন সড়ক দুর্ঘটনাকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ‘রোড সেফটি ফাউন্ডেশন’ এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪০৭ টি। এরমধ্যে ১৮২ টিই বাইক দুর্ঘটনা। বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬৯ জন। যা মোট নিহতদের ৩৫.৫০ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠান এআরআই এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোট ৫৩ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্যই দায়ী যানবাহনের বেপরোয়া গতি। এই পরিসংখ্যান খুবই উদ্বেগজনক। প্রতিদিন মোটরবাইকের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে দুর্ঘটনাও।
সড়কে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার ৪৮ শতাংশই ঘটেছে এই দ্রুতগামী জোড়াচাকার বিশেষ যানবাহনে। দেশের মহাসড়কে বাইক দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে অদক্ষ চালক, যত্রতত্র পার্কিং, ওভারটেকিং মোবাইলে কথা বলা, হেডফোনে গান শোনা, অনিয়ন্ত্রিত গতি, ট্রাফিক সাইন না মানা, পুরনো যন্ত্রাংশ ব্যবহার ইত্যাদি অন্যতম। অনিবন্ধিত হাজারো মোটরসাইকেল মহাসড়কে সটান বুকে চলছে। মোটরসাইকেল চালকদের অধিকাংশই আইন শৃঙ্খলা বা নিয়মের ধার ধারে না।
নিজেদের খেয়াল খুশিমত চলার ফলে রাস্তায় অরাজক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফুটপাথ দিয়ে বাইক চালানো আইনত দণ্ডনীয় হলেও পথচারীকে বিপাকে ফেলে এসব আইনের তোয়াক্কা না করে কিছু বাইকারকে প্রায়ই দেখা যায় বাইক নিয়ে ফুটপাতে ভ্রুম ভ্রুম করতে। বিশেষজ্ঞদের মতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোটরসাইকেল চালনায় বিধি-নিষেধ আরোপসহ লাইসেন্স, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও ট্রাফিক আইন সম্বন্ধে সচেতন করতে অভিভাবক ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।