চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা) জাতীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। নগরীতে যে দুটি বড় ইপিজেড রয়েছে তাদের সেখানে বিরাট কর্মী বাহিনী কাজ করছে। তারা চসিকের সড়ক অবকাঠামো ব্যবহার করে তাদের নিত্য ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচলনা করছে। এ ক্ষেত্রে চসিক তাদের কাছ থেকে ন্যূনতম একটি সাভিস চার্জ পেতে পারে। এই চার্জ দিয়ে নগরীর সড়ক অবকাঠামোগুলো সংস্কার ও উন্নয়ন সম্ভব।
তিনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেপজা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বেপজার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এই ব্যাপারটি অচিরেই একটি রিজিওনাল সেন্টারে পরিণত হবে। যানবাহন চলাচলের জন্য ভাল মানের রাস্তা ও অবকাঠামো প্রয়োজন। কিন্তু কর্পোরেশনের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এই ব্যয় নির্বাহে বেপজার অংশীদারিত্ব নগরবাসী তো বটেই তার সুফল ভোগ করবে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলও।
বেপজা চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দীন ইসলাম প্রশাসকের বক্তব্যে সাড়া দিয়ে বলেন, আমি সার্ভিস চার্জের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব এবং এ ব্যাপারে সবধরনের সহযোগিতা করব। তিনি ইপিজেড এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য চসিক প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাসেম, ইপিজেড এর জেনারেল ম্যানেজার মিসবাহ উদ্দিন মিসবাহ এবং বেপজা চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব আলী ইশতিয়াক। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।