রাউজানে তিন গরু চোরকে স্থানীয়রা আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়ে থানা হাজতে রেখেছে। এই ঘটনা গতকাল শনিবার দুপুরের। আটক তিন চোর হচ্ছে উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের হিংগলা গ্রামের আবদুস ছবুরের ছেলে মনির হোসেন (২৩), একই ইউনিয়নের আরব নগর এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে ওবাইদুজ্জামান (২৪) ও আবদুল মান্নানের ছেলে মো. মোবিন (২৫)। এরমধ্যে মনিরের বিরুদ্ধে তার সৎ মায়ের গরু চুরির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, কয়েকদিন আগে ডাবুয়ার হিংগলা গ্রামে রেহেনা বেগমের একটি গরু চুরি হয়েছিল। গত শুক্রবার আরেকজনের অপর একটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী এলাকা কাউখালী উপজেলার বালুখালিতে কয়েকজন যুবক উপরোক্ত তিনজনকে আটকায়। এ খবর জানাজানি হলে সেখানে ছুটে যায় আগে চুরি হওয়া গরুর মালিকরা। ছুটে যান রেহেনা বেগমও। গরু ও চোর দেখতে গিয়ে রেহেনা বেগম দেখতে পান আটক তিনজনের মধ্যে একজন তার সতীনের ছেলে মনির। তার দাবি, তার গরুটিও মনিরদের এই চোর চক্র নিয়ে গেছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কাউখালী থেকে তিন চোরকে এনে স্বীকারোক্তি নিলে তারা চুরির কথা স্বীকার করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা স্বীকারোক্তি শুনে তাদের পিটুনি দেয়। লোকজনের দাবি, বিগত কয়েক মাসে তাদের গ্রামের বেশ কয়েকটি চুরি হয়েছে। এই চক্রটিই এসব চুরির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রাউজান থানা পুলিশ। স্থানীয়দের বক্তব্য নিয়ে তারা তিন চোরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, জনতার হাতে আটক তিন গরুচোর থানা হেফাজতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিকরা মামলা দায়ের করলে তাদেরকে আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হবে।