সৎ ও ন্যায়পরায়ণ সন্তান রত্ন, তাদের মায়েরাই রত্নগর্ভা

২০ রত্নগর্ভা মা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এম এ মালেক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৮ জুন, ২০২৩ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, পৃথিবীতে মায়ের সাথে কারো তুলনা হয় না। মায়েদের সহ্য ক্ষমতা, ধৈর্য, ত্যাগ ও ধারণ ক্ষমতা অপরিসীম। শিশুকে লালন পালন, সুশিক্ষিত ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে একজন মা নিয়ামক ভূমিকা পালন করে থাকেন। সৎ, ন্যায়পরায়ণ সন্তান দেশ ও জাতির জন্য রত্নস্বরূপ। আর সে রত্ন যিনি গর্ভে ধারণ করেন ও সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলেন তিনিই রত্নগর্ভা মা। রত্নগর্ভা মায়ের সন্তানেরা যুগে যুগে সমৃদ্ধ দেশ, উন্নত সমাজ ও মর্যাদাশীল জাতি বিনির্মাণে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে।

গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে মাসিক চাটগাঁ ডাইজেস্টের উদ্যোগে ২০ রত্নগর্ভা মা সম্মাননা২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাসিক চাটগাঁ ডাইজেস্ট পত্রিকার প্রধান সম্পাদক প্রফেসর ড. জয়নাব বেগমের সভাপতিত্বে সম্মাননা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্পাদক সিরাজুল করিম মানিক।

অনুষ্ঠানে এম এ মালেক বলেন, একজন সন্তান পরিবার থেকে যে শিক্ষা পায়, সেটিই বুনিয়াদী শিক্ষা। সেই শিক্ষাই পরবর্তীতে সমাজ, দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে একজন মা যদি শাশুড়ির ভূমিকায়, জা’র ভূমিকায়, ননদের ভূমিকায়, বোনের ভূমিকায় নিজের মাতৃত্বের চরিত্রটা অটুট রাখতে পারেন, তবেই তিনি হবেন অনন্যা। এম এ মালেক বলেন, অনুষ্ঠানে বারবার আমার নামের আগে একুশে পদক প্রাপ্তির কথা বলা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ পদক প্রাপ্তি আমার জীবনের সেরা স্বীকৃতি। সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি লাল সবুজ পতাকা দিয়ে গেছেন। আমার মৃত্যুর পর লাল সবুজের পতাকাটি আমার কফিনের ওপর শোভা পাবেএক জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে?

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, সরকার নারীর ক্ষমতায়নে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। নারীরা সমাজে ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে। তিনি বলেন, আমরা পরিবার থেকে প্রথম শিক্ষাটা পাই। মায়ের হাতে প্রথম অক্ষরটা শিখি ও লেখি। পরিবারে মা, মায়ের মতো যাঁরা ছিলেন, তাদের থেকে আমরা মূল শিক্ষাটা পেয়েছি। এখন মেয়েরা অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের সময় মেয়েরা জানতোই তার বিয়ে হয়ে যাবে। সমাজের ওপর কথা বলার সাহস ছিল না। এখন সেই প্রতিবন্ধকতা আর নেই। মাসিক চাটগাঁ ডাইজেস্ট কর্তৃক ‘রত্নগর্ভা মা’ সম্মাননা হলো আনুষ্ঠানিকভাবে মাকে শ্রদ্ধা জানানোর একটি মহৎ উদ্যোগ।

বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে আপন ও অকৃত্রিম বন্ধু হলো মা। শিক্ষিত মাই একটি শিক্ষিত, উন্নত ও মর্যাদাসম্পন্ন জাতি উপহার দিতে পারেন। এ ধরনের উদ্যোগ রত্নগর্ভা মা তৈরির প্রেরণা জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি লায়ন কোহিনূর কামাল ভালবাসা ও পরিচর্যার মাধ্যমে শেষ জীবন সুখকর করার জন্য সস্তানদের প্রতি আহ্বান জানান।

সম্মাননা প্রাপ্ত রত্নগর্ভা মায়েরা হলেন রওশন আরা চৌধুরী, মোছাম্মৎ নুরজাহান বেগম, জিগারুন্নেছা, ফরিদা মোজাম্মেল, নুর নাহার বেগম, ফাতেমা বেগম নুর জাহান, রৌশন আরা বেগম, নিগার সুলতানা, শাহিদা বানু, আলম আরা খোরশেদ, উম্মে শাহী আখতার বানু, কামরুন নাহার বকুল, ফেরদৌসী গাজী, আফরোজা আখতার, চিনু রানী আচার্য্য, সাহেদা আক্তার, রেহেনা খানম, শায়েস্তা বেগম, ডা. হাফসা করিম ও নূর আক্তার বেগম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিটের গাড়িবহরে হামলা
পরবর্তী নিবন্ধএবার ডায়রিয়ায় মারা গেলেন স্বামী-স্ত্রী