স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি দলের সাথে বিজিএমইএ’র মতবিনিময়

| বৃহস্পতিবার , ২৩ জুন, ২০২২ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানের আমন্ত্রণে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভূক্ত দেশ স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি কন্টেনারবাহী জাহাজ চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আগত পোর্ট অব কোপারের একটি প্রতিনিধি দল বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সাথে গত মঙ্গলবার খুলশীস্থ বিজিএমইএ ভবনে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এম. আহসানুল হক, পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি হিসেবে পোর্ট অব কোপারের কমার্সিয়াল ডিরেক্টর মিৎসা ডুকস, স্লোভেনিয়ার বাংলাদেশের অনারারী কনসাল মিহা গ্রোসনিক, পোর্ট অব কোপারের ম্যানেজার বরুত সিম্রেল, ঢাকাস্থ স্লোভেনিয়া দূতাবাসের পক্ষে সাদেকুল কবির এবং জাহিদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বর্হিবিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর সমূহের সময়ক্ষেপন ও জাহাজ জট এড়ানো, সময় ও খরচ কমানোর স্বার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রপ্তানিতব্য দেশ সমূহে পণ্য প্রেরণে সরাসরি জাহাজ চালু হলে মধ্য-পূর্ব ইউরোপে আমাদের পোশাক শিল্পের রপ্তানি আরো সম্প্রসারিত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৫৫% ইউরোপীয় দেশ সমূহে রপ্তানি হয়ে থাকে। বিজিএমইএ’র আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম পরিদর্শনে আসায় স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি দলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এ’বিষয়ে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, কোভিড সংক্রমণ পরবর্তীতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় জাহাজ ও কন্টেনার ভাড়া বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রপ্তানির সক্ষমতা বজায় রাখার স্বার্থে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে সরাসরি পণ্য পরিবহনের কোনো বিকল্প নেই। স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপার-এর কমার্শিয়াল ডাইরেক্টর মিৎসা ডুকস বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশ সমূহে তৈরী পোশাকসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য চালান বিভিন্ন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হচ্ছে, এতে বিপুল অর্থ ব্যয়সহ অতিরিক্ত সময় নষ্ট হচ্ছে।

এক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ পরিচালনা করা হলে সময় ও অর্থ অনেকাংশে সাশ্রয় হয়ে রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং পূর্ব ও মধ্য ইউরোপে বাংলাদেশের সাথে রপ্তানি বাণিজ্যে বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে। সরাসরি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপার-এর পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে পরিবহন সেক্টরে ১৫ হাজারের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের সাথে যুক্ত
পরবর্তী নিবন্ধকুমিল্লা মামার ৩৭তম বার্ষিক ইছালে ছওয়াব কাল