চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাসি, কান্না বা প্রেম-ভালোবাসা আর আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য রচিত হলো একটি সিনেমায়! যে সিনেমার নাম ‘শাটল ট্রেন’। প্রদীপ ঘোষ নির্মিত চলচ্চিত্রটির ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হলো চ্যানেল আইয়ের পর্দায়। এরপর চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হলো চ্যানেল আইয়ের ইউটিউব চ্যানেলেও। আর সেখানে মুক্তির পর পর দর্শকদের বড় অংশের মধ্যে দেখা গেলো নিজেদের কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নিয়ে স্মৃতিকাতরতা!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী সিনেমাটি দেখে মন্তব্য করেছেন, করোনার কারণে প্রায় ১৫ মাস ধরে সেই ক্যাম্পাস এবং শাটল ট্রেনকে মিস করছি। চিরচেনা সবুজে ঘেরা প্রিয় চবি। গোলাম কিবরিয়া তুহিন নামের এক দর্শক লিখেছেন, ছবিটি দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেলাম! অন্য আরেকজন লিখেছেন, সিনেমাটি দেখে এখন ক্যাম্পাসের কথা আরও বেশি করে মনে পড়ছে! বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রিয় ক্যাম্পাস নিয়ে এরকম আরো বহু মন্তব্য রয়েছে ‘শাটল ট্রেন’ এর ইউটিউব লিঙ্কের নিচে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ‘শাটল ট্রেন’ নামটি জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। তবে এই সিনেমায় আছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বন্ধুত্ব, প্রেম, দুঃখ, বেদনা আর রাজনীতির প্রথম পাঠ নেয়ার গল্প। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের গণ-অর্থায়নে নির্মিত ‘শাটল ট্রেন’ দেশের প্রথম কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। তাই শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ তরুণীদের ছবিটি দেখা উচিত বলে মনে করেন নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ।
চলচ্চিত্রটিতে মোট আটটি মৌলিক গান রয়েছে। গানগুলোর কথা সুর এবং কণ্ঠ দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। এতে অভিনয়ও করছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬তম ব্যাচের ছাত্রী মোহসেনা ঝর্ণার ‘বহে সমান্তরাল’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয় এই চলচ্চিত্র।